ধর্ম

মুসাফাহ করা কি সুন্নাত?

গুনাহ মাফের সেরা আমল দুই মুসলিমের দেখা-সাক্ষাতে মুসাফাহ করা বা হাত মেলানো। মুসাফাহা করার প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। এটি সুন্নাত আমল। যখন দুইজন মুসলিম সাক্ষাতকালে মুসাফাহা করে বা হাত মেলায়, সঙ্গে সঙ্গেই তাদের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। হাদিসে পাকে এসেছে-

Advertisement

হজরত বারাআ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘দুজন মুসলিম পরস্পর মিলিত হয়ে মুসাফাহা করলে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই তাদের ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)

সুতরাং নবিজীর ঘোষণা অনুযায়ী যখন দুজন মুসলিম একত্রিত হয়ে মুসাফাহা করবে; তাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন।

মুসাফাহার আমলের গুরুত্ব

Advertisement

মুসাফাহার আমল সালামের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত। যেমনিভাবে সালামের সময় একে অপরের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তার দোয়া করে থাকেন। ঠিক তেমনি মুসাফাহার সময় একে অপরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করতে থাকেন। আর বলতে থাকেন-

يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وِلَكُمْ

উচ্চারণ : ‘ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওয়া লাকুম’

অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা আপনাদের এবং আমাদের ক্ষমা করুন।’

Advertisement

এ কারণেই নবিজী বলেছেন, মুসাফাহাকারী ব্যক্তি নিজেদের স্থান ত্যাগ করার আগেই আল্লাহ তাআলা তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেন। এর চেয়ে সৌভাগ্যের আমল আর কী হতে পারে! আর মুসাফাহার মাধ্যমে একে অপরের কল্যাণ কামনা করে থাকেন। যে কোনো ভালো কাজের দ্বারা যেহেতু আল্লাহর হক সম্পৃক্ত ছোট গুনাহগুলো মাফ করে দেওয়া হয়। তাই কেউ যদি নিয়মিত মুসাফাহা করেন, আশা করা যায় আল্লাহর হক সম্পর্কিত ছোট গুনাহগুলো থেকেও মুক্তি পাবেন মুমিন।

মনে রাখতে হবে

হারাম মুসাফাহা করা যাবে না। যেমন- কোনো পুরুষ কোনো গায়রে মাহরাম নারীর সঙ্গে মুসাফাহা করা। এটি মারাত্মক গুনাহ।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, পরস্পর দেখা-সাক্ষাতে একে অপরের জন্য দোয়া করা। সুন্নাত আমলের অনুসরণ ও অনুকরণ করে নিজেদের গুনাহ মাফে সচেষ্ট থাকা। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। গুনাহমুক্ত জীবনের জন্য মুসাফাহার আমল ও পরস্পরের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া করার তাওফিক দিন। আমিন।

এমএমএস/জিকেএস