আন্তর্জাতিক

কর্ণফুলী টানেলের নামে ভাইরাল ছবিটি ‘নকল’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্ণফুলী টানেলের দাবি করে একটি ছবি বেশ ছড়াচ্ছে। অনেকেই সেটি শেয়ার করেছেন ও এমন অসাধারণ স্থাপনা তৈরির জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে, এটি সত্য হলেও ভাইরাল ওই ছবিটি আসলে ভুয়া। দুটি আলাদা ছবি জোড়া দিয়ে বানানো হয়েছে নকল ছবিটি। বার্তা সংস্থা এএফপির ফ্যাক্ট চেকে ধরা পড়েছে এ বিষয়টি।

Advertisement

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছবিটি শেয়ার করা হয় গত ২১ জানুয়ারি। ক্যাপশনে পোস্টদাতা বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু টানেল, কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে স্থাপিত দক্ষিণ এশিয়ার সর্বপ্রথম টানেল’।

বাস্তবে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নির্মাণাধীন টানেলটির কাজ এখনো শেষই হয়নি। আগামী ডিসেম্বরে এর নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। চীনের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে বিশাল এ প্রকল্প।

কর্ণফুলী টানেলের ভুয়া ছবিটি আরও কয়েকটি অ্যাকাউন্ট থেকে ফেসবুকে শেয়ার করা হয়েছে। সেগুলোর নিচে করা মন্তব্যেও ছবিটিকে আসল বলেই ধরে নিতে দেখা গেছে।

Advertisement

নকল ছবিটি বানানো হয়েছে মূলত বাংলাদেশ ও জার্মানির দুটি পৃথক ছবিকে যোগ করে।

রিভার্স সার্চে দেখা গেছে, ছবির নিচের অংশটি অনেক আগে অনলাইন লাইব্রেরি উইকিমিডিয়া কমনসে প্রকাশিত হয়েছিল। ২০০৬ সালের ৮ জুন সেটি প্রকাশ করেন কে. জাহ্নে নামে এক ব্যক্তি। ছবির জায়গটিকে জার্মানির লিওনবার্গের এনজেলবার্গ বেস টানেলের উত্তর প্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়। একই ছবি অনলাইন ডেটাবেজ স্ট্রাকচার ডটনেট এবং সুইজারল্যান্ডের অ্যামবার্গ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও রয়েছে।

কর্ণফুলী টানেলের ভুয়া ছবিটি বানাতে ব্যবহৃত দ্বিতীয় ছবিটি বাংলাদেশেরই। ইয়ানডেক্সে রিভার্স সার্চের মাধ্যমে দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুনে ট্রাভেল ওয়েবসাইট ট্রিপঅ্যাডভাইজারে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদী উল্লেখ করে ছবিটি আপলোড করেছিলেন এক বাংলাদেশি ব্যবহারকারী। তার ক্যাপশন ছিল, ‘লাইফ লাইন রিভার অব বাংলাদেশ’।

চট্টগ্রাম অঞ্চলের বৃহত্তম নদী কর্ণফুলী। এর তলদেশ দিয়ে নির্মাণাধীন টানেলের মাধ্যমে দেশের প্রধান সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Advertisement

কেএএ/জিকেএস