খেলাধুলা

শুভাগতর দুই বলে দুই ছক্কায় জিতে গেলো ঢাকা

উনিশতম ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ৪ রান খরচ করেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। ফলে শেষ ওভারে ১১ রানের সমীকরণের সামনে পড়ে মিনিস্টার ঢাকা। আপাতদৃষ্টিতে বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল এটি।

Advertisement

কিন্তু ভিন্ন চিন্তাই ছিল শুভাগত হোমের। থিসারা পেরেরার করা শেষ ওভারের প্রথম বলে সোজা বোলারের মাথার ওপর দিয়ে এবং পরের বলে এক্সট্রা কভার দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে দুই বলেই ঢাকাকে জয় এনে দেন এ স্পিনিং অলরাউন্ডার। যার সুবাদে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো ঢাকার।

এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। খুলনা ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে ৪ নম্বরে। শেষ দুই ম্যাচে একটি জয় পেলেও রান রেটের ভিত্তিতে সেরা চারে থাকার সুযোগ রয়েছে খুলনার সামনে।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করা খুলনার সংগ্রহ ছিল ১২৯ রান। এই অল্প পুঁজি নিয়েও নাবিল সামাদ, রুয়েল মিয়া, খালেদদের বোলিংয়ে ঢাকার কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল খুলনা। কিন্তু শেষ ওভারে গিয়ে আর পারেনি তারা। শুভাগতর দুই ছক্কায় জিতে গেছে ঢাকা।

Advertisement

১৩০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই সাজঘরে ফিরে যান ঢাকার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল (৬) ও ইমরানুজ্জামান (৬)। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ রান যোগ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও জহুরুল ইসলাম অমি। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় জহুরুল সাজঘরে ফেরেন ৩০ রান করে।

এরপর শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে এগুতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু জয়ের জন্য ২৫ রান বাকি থাকতে আউট হয়ে যান দুজনই। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে আসে ৩৬ বলে ৩৪ রান, শামসুর শুভ ১৪ বলে করেন ২৫ রান। শেষ ৪ ওভারে ২৯ রান প্রয়োজন ছিল ঢাকার। আন্দ্রে ফ্লেচারকে দিয়ে ১৭তম ওভারটি করান মুশফিক। যেখানে আসে মাত্র ৫ রান।

থিসারার পরের ওভারে ৯ রান এলে দুই ওভারে বাকি থাকে ১৫ রান। সেই ওভারে শর্ট থার্ড ম্যানে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ক্যাচ ছাড়েন খালেদ। তবে পরের ওভারে বোলিং করতে এসে মাত্র ৪ রান খরচ করে ম্যাচের পাল্লা ফের খুলনার দিকে আনেন এ ডানহাতি পেসার। কিন্তু শেষ ওভারে পরপর দুই ছক্কায় ঢাকাকে জিতিয়ে দেন শুভাগত। তিনি অপরাজিত থাকেন ৯ বলে ১৮ রান করে।

এর আগে খুলনার দলীয় সংগ্রহ আরও কমেই আটকে যেতে পারতো। যদি না লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস খেলতেন জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার সিকান্দার রাজা। তার ৫০ বলে ৬৪ রানের ইনিংসের কল্যাণেই ১২৯ পর্যন্ত যেতে পেরেছে খুলনা। চার পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নেমে বোলিংটা বেশ ভালোই করেছে ঢাকা।

Advertisement

টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে খুলনার ইনিংস। ইনিংসের ৩.৩ ওভারে মাত্র ১২ রান তুলতেই সাজঘরে ফিরে যান চার ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার (৬), সৌম্য সরকার (১), জাকের আলি অনিক (৫) ও ইয়াসির আলি রাব্বি।

এরপর পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর সপ্তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১২ রান। দলীয় সংগ্রহ ৫০ পার করিয়ে ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন শেখ মেহেদি হাসান। মাত্র ৫৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন কঠিন চাপে খুলনা। সেখান থেকে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান সিকান্দার রাজা।

একপ্রান্ত আগলে রেখে একার লড়াইয়ে দলকে ১২৯ রানে নিয়ে যান এ জিম্বাবুইয়ান অলরাউন্ডার। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ৫ চার ও ৪ ছয়ের মারে ৫০ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। এছাড়া ১২ রান আসে শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরার ব্যাট থেকে।

ঢাকার পক্ষে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন আরাফাত সানি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। এছাড়া রুবেল হোসেন ও ফজলহক ফারুকির শিকার ১টি করে উইকেট।

এসএএস/জিকেএস