আগামী ১ মার্চ থেকে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিচ্ছে মালয়েশিয়া। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ মার্চ থেকে বিভিন্ন দেশের যেসব পর্যটক মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করবেন, তাদের জন্য কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক থাকছে না।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও করোনা মহামারি প্রতিরোধ বিষয়ক সরকারি উপদেষ্টা কমিটি ন্যাশনাল রিকভারি কাউন্সিলের (এনআরসি) প্রধান মুহিউদ্দিন ইয়াসিন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পর্যটক ও বিনিয়োগকারীরা আবার নিশ্চিন্তে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন। এয়ারএশিয়া (মালয়েশিয়ার সরকারি বিমান পরিষেবা সংস্থা) ফের বিনা বাধায় আকাশে উড়বে।
করোনা সংক্রমণ ও মহামারি ঠেকাতে ২০২০ সালের মার্চে বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করেছিল মালয়েশিয়া। কিন্তু তা কতখানি কাজে এসেছে— সে প্রশ্ন ওঠা খুব স্বাভাবিক।
Advertisement
কারণ মহামারির গত দুই বছরে এশিয়ার যেসব দেশ সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে, তাদের মধ্যে মালয়েশিয়া অন্যতম। সরকারি হিসাবেই মালয়েশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ২৯ লাখ ২৫ হাজার ২৫৪ জন। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৩২ হাজার ৪৩ জন। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৩৪ জন এবং মারা গেছেন ৯ জন।
তবে করোনা মহামারির বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেলেও জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে অত্যন্ত সফল মালয়েশিয়া। দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৯৮ শতাংশই করোনা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন। এছাড়া তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৫০ শতাংশেরও বেশি প্রাপ্তবয়স্ক।
এছাড়াও, ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী অপ্রাপ্তবয়স্কদের ৮৯ শতাংশ টিকার দুই ডোজ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে মালয়েশিয়ায়।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার তিন প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন ও সিঙ্গাপুর বিদেশি পর্যটকদের জন্য সীমান্ত খুলে দিয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি সফল হওয়ায় মালয়েশিয়াও আগের অবস্থান থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলো।
Advertisement
ইতোমধ্যে অবশ্য এক দ্বিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইনমুক্ত ভ্রমণনীতি চালু করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।
কেএসআর/