বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার ও রিকন্ডিশন্ড মাইক্রোবাস আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস ইম্পোটার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা)।
Advertisement
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলন কক্ষে প্রাক বাজেট আলোচনা সভায় সংগঠনটির সভাপতি আবদুল হক এই দাবি রাখেন।
তিনি বলেন, পরিবহন, পর্যটন শিল্পসহ প্রায় সবক্ষেত্রেই মাইক্রোবাস ব্যবহারের বিকল্প নেই। পোশাকশিল্পের ন্যায় শ্রমঘন শিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারি এই পরিবহন ব্যবহার করে। এই শ্রেণির গাড়ি আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আছে। ১০-১৫ আসনের এই যানগুলোতে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করছি। এসময় তিনি পাবলিক বাস আমদানিতে ১ শতাংশ শুল্ক করার প্রস্তাব করেন।
এছাড়া ব্যাটারিচালিত মোটরের গাড়ি ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য মাল্টিডিসিপ্লিননারি এবং কম্প্রেহেনসিভ নীতিমালা করার প্রস্তাব করে বারভিডা।
Advertisement
আবদুল হক বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ মোটরযানে ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার কমে আসবে। এ অবস্থায় দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে।
প্রস্তাবটি বিবেচনা করা হলে সাশ্রয়ী মূল্যে জাপান থেকে অত্যাধুনিক বাস আমদানির পথ সুগম হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বারভিডার অন্যান্য প্রস্তাবনার মধ্যে রয়েছে
রিকন্ডিশন্ড মোটরগাড়ির ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর আরোপ রহিত করা, ব্যবসায়ী পর্যায়ে হিসাব রক্ষণ, রেকর্ড সংরক্ষণ, নথি সংরক্ষণ এবং চালান বা রেজিস্ট্রার লিপিবদ্ধকরণের দায়মুক্তি, ব্যবহৃত রিকন্ডিশন্ড গাড়ির সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং গাড়ির বয়স গণনা পদ্ধতি সংশোধন।
Advertisement
সভায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, সদস্য মাসুদ সাদিকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসএম/জেডএইচ/এএসএম