রাজধানীসহ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বরের পর এটি সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। ওইদিন মৃত্যু হয়েছিল ৫১ জনের। ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৪৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৬ জন ও নারী ১৭ জন। মৃত ৪৩ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৫ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৭ জন মারা যান। এছাড়া বাসায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৭০ জনে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তে নমুনা পরীক্ষায় নতুন ৮ হাজার ৩৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৫ জনে। শনাক্তের হার ২০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় সরকারি ও বেসরকারি ৮৭১টি ল্যাবরেটরিতে ৪১ হাজার ৮৭৯টি নমুনা সংগ্রহ ও ৪১ হাজার ৬৯৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ কোটি ২৮ লাখ ১২ হাজার ৫৭৮টি।
Advertisement
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত ও ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নতুন রোগী শনাক্তের হার ১৪ দশমিক শূন্য ৬৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত ২৮ হাজার ৬৭০ জনের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৩০৪ জন ও নারী ১০ হাজার ৩৬৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে ১০ হাজার ৮০০ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২২ হাজার ৮৫৭ জনে। রোগী সুুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত ৪৩ জনের মধ্যে ০ থেকে ১০ বছরের ১ জন, বিশোর্ধ্ব ৩ জন, চল্লিশোর্ধ্ব ৪ জন, পঞ্চাশোর্ধ ৮ জন, ষাটোর্ধ্ব ১০ জন, সত্তরোর্ধ্ব ১১ জন, আশি বছরের বেশি বয়সী ৫ জন এবং ৯০ বছরের বেশি বয়সী ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
Advertisement
৪৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রামের ১১ জন, রাজশাহীর ২ জন, খুলনার ১৩ জন, রংপুরের ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়।
এমইউ/ইএ/এমএস