সোরিয়াসিস হলো এক ধরনের চর্মরোগ। বিশ্বের হাজার হাজার মানুষ এই চর্মরোগে ভুগছেন। যদিও সোরিয়াসিস অসংক্রামক চর্মরোগ। হাত-পা, কনুই, হাঁটু বা হাঁটুর নিচের অংশে লাল লাল দানা বা ফুসকুড়ির দেখা যায়।
Advertisement
এসব ফুসকুড়ি ধীরে ধীরে বড় হয়। এরপর সাদা মাছের আঁশের মতো আস্তরণ পড়তে শুরু করে। এটি ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার সৃষ্টি করে। চুলকালে রক্তপাতও হতে পারে।
অনেক সময় মাথার ত্বকেও সোরিয়াসিস দেখা দেয়। মরা ত্বক সাদা সাদা গুঁড়ার মতো ঝরতে থাকে বলে অনেকেই খুশকি ভেবে অবহেলা করেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সোরিয়াসিস কখনো পুরোপুরি সেরে যায় না। অন্যান্য ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি রোগের মতো এটিও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
Advertisement
পরিবারে কারো সোরিয়াসিস থাকলে অন্যান্যরাও এ সমস্যায় ভুগতে পারেন। এ কারণে সচেতন থাকা জরুরি।
যেহেতু সোরিয়াসিস দীর্ঘমেয়াদি চর্মরোগ ও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি, তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে স্বস্তি মিলবে এ সমস্যা থেকে। চলুন তবে জেনে নিন তেমনই ৭ উপায়-
>> আপেল সিডার ভিনেগারের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। ওজন কমানো থেকে শুরু করে শারীরিক নানা সমস্যার সমাধান করে এই উপাদান।
শুধু তা-ই নয় বরং রূপচর্চাতেও ব্যবহৃত হয় আপেল সিডার ভিনেগার। জানেন কি, এই উপাদান সোরিয়াসিসের সমস্যাতেও স্বস্তি দেয়।
Advertisement
যখনই আক্রান্ত স্থানে চুলকানির সৃষ্টি হবে কিংবা অতিরিক্ত আঁশ ছড়াবে, ঠিক তখনই সামান্য ভিনেগারের সঙ্গে পানি মিশিয়ে সোরিয়াসিসের স্থানে ব্যবহার করুন।
১৫-২০ মিনিট রেখে স্থানটি শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। তবে খেয়াল রাখবেন, আক্রান্ত স্থানে ক্ষত বা রক্তপাত হলে এটি ব্যবহার করবেন না।
>> সোরিয়াসিসের স্থান অতিরিক্ত শুষ্ক ও আঁশ উঠলে ডেড সি বা ইপসম লবণ ব্যবহার করতে পারেন।
এজন্য গরম পানির সঙ্গে সামান্য লবণ মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ১৫ মিনিটের জন্য ব্যবহার করুন। এরপর ব্যবহার করুন ময়েশ্চারাইজার।
>> হলুদের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবারই কমবেশি জানা আছে। গবেষণায় দেখা গেছে, সোরিয়াসিসের সমস্যায় স্বস্তি দেয় সোরিয়াসিস। এজন্য নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন হলুদ।
>> চা গাছের তেল চর্মরোগের ক্ষেত্রে দারুন উপকারী। এতে থাকে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য। ত্বকের ব্রণ থেকে শুরু করে অ্যাথলিটস ফুট ও সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় এই তেল।
>> ওজন কমাতে ওটস খুবই কার্যকরী। এই উপাদান দিয়েও আপনি সোরিয়াসিসের সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
এজন্য গোসলের পানিতে ওটসের গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করুন। হালকা ঠান্ডা পানিতে মেশাতে হবে এই গুঁড়া। তারপর গোসল করে নিন।
>> ক্যাপসাইসিনযুক্ত ক্রিম ব্যবহার করে সোরিয়াসিসের লালভাব, ব্যথা ও প্রদাহ কমাতে পারেন।
ক্যাপসাইসিন যৌগটি মরিচকে মসলাদার করে তোলে। তবে ক্যাপসাইসিনযুক্ত ক্রিম ব্যবহারে আক্রান্ত স্থানে সামান্য জ্বালা অনুভূত হতে পারে।
>> গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালোভেরা সোরিয়াসিসের সমস্যায় স্বস্তি দিতে পারে। এই ভেষজে থাকে প্রদাহ বিরোধী উপাদান। অ্যালোভেরা ব্যবহারে আক্রান্ত স্থাসের লালভাব কমাতে সাহায্য করে।
সূত্র: ওয়েব এমডি
জেএমএস/জিকেএস