নব্বই বছর বয়সে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আশঙ্কিত ছিলেন চিকিৎসকরা। যদিও সোমবার ভারতের অ্যাপোলো হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিংবদন্তি গায়িকা করোনামুক্ত।
Advertisement
সোমবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের। তার অঙ্গগুলোর সক্রিয়তাও আগের চেয়ে অনেকটাই সন্তোষজনক।
বয়সজনিত নানান অসুখে ভুগছিলেন প্রবীণ সংগীতশিল্পী। পড়ে গিয়েছিলেন বাড়িতে। ফিমার বোন ভেঙে গিয়েছিল তার। গত ২৭ জানুয়ারি নবতিপর শিল্পীকে গ্রিন করিডোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এসএসকেএমে। সেখানে কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসায় দ্রুত তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাপোলো হাসপাতালে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রবীণ গায়িকা করোনামুক্ত হলেও তার ফুসফুসের সংক্রমণ পুরোপুরি সারেনি। রয়েছে বয়সজনিত অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও। ঊরুর হাড়ও ভাঙা। কিন্তু তার অপারেশন করার মতো পরিস্থিতি এখনও তৈরি হয়নি।
Advertisement
যদিও তার ফুসফুস ও হৃদযন্ত্রের উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সোমবারও রাইলস টিউব ছাড়াই তিনি খাবার খেয়েছেন। রয়েছেন পুরো সজ্ঞানেই।
অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শুরুর দিকে চিকিৎসায় তেমন সাড়া দেননি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। তবে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। বরং সঙ্কটজনক থাকলেও স্থিতিশীল ছিলেন শিল্পী।
গত বুধবার থেকে ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হয়। এদিন অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এখন বিনা অক্সিজেন সাপোর্টেই শিল্পীর রক্তে অক্সিজেনের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় থাকছে।
এদিকে লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণ সংবাদ এখনও জানানো হয়নি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। করোনামুক্ত হওয়ার পর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও এখনও যথেষ্ট দুর্বল তিনি।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে এই দুঃসংবাদের ধাক্কা সামলে ওঠার মতো অবস্থায় নেই তিনি। ঠিক সে কারণেই সুরসম্রাজ্ঞীর প্রয়াণের খবর জানানো হয়নি সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে।
এমআরএম/জেআইএম