ভ্রমণ

বিশ্বের ভয়ংকর সুন্দর ৪ স্থান

বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন কৌতূহল। ঠিক তেমনই বিশ্বে এমন কিছু স্থান আছে, যেখানকার সৌন্দর্য ভয়ংকর রূপ নেয়। সেসব স্থান বিপজ্জনক হলেও পর্যটকরা মুগ্ধ হন।

Advertisement

অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়রা সর্বদা বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেন। আজ এখানো তো কাল সেখানে যাবেন বলে ডেস্টিনেশনও নির্ধারণ করেন।

আর সে হিসেবে প্রস্তুতিও গ্রহণ করেন। আপনিও যদিও তেমনই রোমাঞ্চপ্রেমী হন, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন বিশ্বের ৪ স্থান থেকে।

** বামিয়ান উপত্যকা: আফগানিস্তানের মধ্যভাগে অবস্থিত এই উপত্যকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে গড়ে প্রায় ২৪০০ মিটার উচ্চতায় এর অবস্থান। সেখানে হাজারা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির বাস।

Advertisement

বর্তমানে তারা ইসলামী অনুশাসন মেনে চললেও অতীতে এ অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রভাব ছিল বেশি। তখন বামিয়ান নামক এই উপত্যকার পাহাড়ের গায়ে অসংখ্য কৃত্রিম গুহা খনন করেন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও ভিক্ষুরা। এসব গুহাতেই তারা বসবাস করতেন।

এ অঞ্চলে দুটি বুদ্ধমূর্তি ছিল যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম। তালেবান নেতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের নির্দেশে ২০০১ সালের মূর্তি দুটিকে পাহাড়ের গায়ে ডিনামাইট বিস্ফোরণে ধ্বংস করা হয়। তবে ওই স্থানের সৌন্দর্য আজও কমেনি।

** লাস গিল, সোমালিয়া: রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আফ্রিকার এই দেশ পর্যটকদের জন্য নিরাপদ স্থান নয়। তবে সেখানকার সৌন্দর্য মুগ্ধ করে পর্যটকদের।

এই এলাকায় অসংখ্য গুহা শিল্প আছে, যা আফ্রিকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রক আর্ট হিসেবে বিবেচিত।

Advertisement

** সান পেদ্রো সুলা, হন্ডুরাস: এই শহর জুড়েই চলে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লেনদেন। পর্যটকরা সেখানে প্রয়শই ছিনতাই ও চুরির সম্মুখীন হন।

বিশ্বে সর্বোচ্চ খুনের মামলা দায়ের করা হয় এই শহরে। মায়া সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ও সোনালি সৈকত এখানে উল্লেখযোগ্য আকর্ষণীয় স্থান হতে পারে।

এসবের মধ্যেও যদি কোনো পর্যটক সেখানে ভ্রমণে যান, তাদের অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়।

** সুকুত্রা, ইয়েমেন: আরব সাগরের মাঝে অবস্থিত এই স্থানটির সৌন্দর্য সম্পর্কে অনেকেরই জানা। কারণ এ অঞ্চলের ভৌগোলিক পরিবেশ ও গাছপালা অনেকটাই ভিন্ন।

এ কারণে দ্বীপটিকে ভিনগ্রহবাসীদের দ্বীপ বা এলিয়েন আইল্যান্ড বলা হয়। ৪টি দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দ্বীপপুঞ্জ।

ইয়েমেন ২০১৩ সালে এটিকে একটি প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে। যদিও যুদ্ধ ও রাজতৈনিক অস্থিরতার কারণে ২০১৫ সাল থেকে সুকুত্রায় পর্যটকদের আনাগোনা কম।

সূত্র: ট্রাভেল ট্রায়াঙ্গেল

জেএমএস/জিকেএস