জাতীয়

অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ ইজতেমায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা কঠোর অবস্থানে থেকে দায়িত্ব পালন করলেও নিজেরাই রয়েছেন মানবেতর অবস্থায়। ইজতেমায় অনেক পুলিশ সদস্যকে বিমর্ষ অবস্থায় দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। গত ৫ জানুয়ারি থেকে আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে তাদের। কিন্তু এজন্য কোনো সুবন্দোবস্ত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আর সে কারণেই ক্ষুব্ধ অধিকাংশ পুলিশ সদস্য।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের বিশ্ব ইজতেমা ময়দানসহ মুসুল্লিদের নিরাপত্তা দিতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে আনা হয়েছে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য। দুই পর্বে আয়োজিত এবারের ইজতেমায় খুলনা, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর থেকে এখানে ভ্রাম্যমাণ দায়িত্ব পালনে মোতায়েন করা হয়েছে তাদের। এক রকম বাধ্য হয়েই দায়িত্ব পালন করতে হলেও বিরক্ত অধিকাংশ পুলিশ সদস্য।এ ব্যাপারে খুলনা রেঞ্জের একাধিক পুলিশ সদস্য জাগো নিউজকে বলেন, ইজতেমা শুরু হয়েছে আজ। আর আমাদের আসতে হয়েছে গত ৫ জানুয়ারি। দুই পর্বের এবারের ইজতেমায় বিরতিহীনভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। অথচ এর আগেও আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। এক পর্ব শেষ হলে পুলিশের এক গ্রুপ চলে যেতো। আসতো নতুন টিম। কিন্তু এবার বিরতিহীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কিন্তু থাকা, খাওয়ার কোনো সুবন্দোবস্ত করেনি সংশ্লিষ্টরা।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য জানান, দুপুরের খাবার খেতে পারিনি। রাতে কোথায় থাকবো এখনো জানি না। আদৌ ডিউটি থেকে ছুটি পাবো কি না তাও জানি না। এভাবেই আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আমাদের থাকতে হবে এখানে।মোশাররফ নামে এক পুলিশ সদস্য বলেন, বিগত বছরে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আমি এক পর্বের দায়িত্ব পালন করে চলে গেছি। কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম। বিরতিহীনভাবে দুই পর্বেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। থাকার ব্যবস্থা হয়নি। রাতে হয়তো মসজিদে অথবা স্কুল কলেজের কোনো বিল্ডিংয়ে আমাকে রাত্রি যাপন করতে হতে পারে। হয়তো এমনও সারা রাত আমাকে নির্ঘুম কাটাতে হতে পারে। অনেকের মতো আমার শারীরিক অবস্থা ভালো নেই। শারীরিকভাবে আমার মতো অসুস্থ পুলিশ সদস্য রয়েছি বিপাকে। বিরতিহীনভাতে দায়িত্ব পালন করা যে কতো টা কঠিন তা কেউ বুঝবে না।এমনই নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে দায়িত্ব পালন করা কতোটা সম্ভব ও যৌক্তিক তা জানতে চাইলে গাজীপুর জেলার এডিশনাল এসপি মো. দেলোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, শত ভাগ দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। কারণ প্রথম পর্বের পর দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে তিনদিনের বিরতি রয়েছে। এরপর আবার তাদের দায়িত্বে যোগদান করতে হবে।থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা কোথায় করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইজতেমা ময়দানের আশপাশের স্কুল কলেজ, বিভিন্ন গার্মেন্টেসের গেস্ট হাউজসহ বিভিনন্ন স্থানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে নিজ দায়িত্বে খাবারের সংগ্রহের জন্য সকল সদস্যকে অনুরোধ করা হয়েছে।জেইউ/এমএম/এসকেডি/এমএস

Advertisement