ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে চারটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনবো। তিন মাস আগে বলেছিলাম চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম শিগগির তৈরি করা দরকার, পুরো ই-কমার্স ইকো সিস্টেমটা বিশ্বাসযোগ্য ভিত্তির ওপর দাঁড় করার জন্য।
Advertisement
রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সচিবালয়ে প্রথমে ডিজিটাল কমার্স ব্যবসার সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এসব কথা বলেন।
দুপুর ১টায় ইউবিআইডি অ্যাপ উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকে ওয়েবসাইট খুলে ব্যবসা করছেন, কেউ অ্যাপ তৈরি করছেন কেউবা ফেসবুকে শুধু একটি অ্যাকাউন্ট ও পেজ খুলে তাদের পণ্যের বেচাকেনা শুরু করেছেন। অনেকেরই লাইসেন্স আছে, আজকের ডিল, চালডালের মতো কোম্পানির লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে রেজিস্ট্রেশন আছে।
Advertisement
তিনি বলেন, অনেকের ট্রেড লাইসেন্স নেই, অনেকে শুধু ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ব্যবসা করছেন। এ রকম অসংখ্য নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন; বিশেষ করে করোনাকালে যারা ব্যবসার প্রসার ঘটিয়েছেন। তাদের মেধা যেন কোনোভাবে বিতর্কিত না হয় বা বিফলে না যায় সেজন্যই আমরা প্রথম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ইউনিক বিজনেস আইডি ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের দেবো।
পলক বলেন, অভিযোগ নিষ্পত্তির জায়গা তৈরি করবো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ভোক্তা অধিকার একটি সংস্থা আছে, কিন্তু সেটার লোকবল খুবই সীমিত। তাদের জনবল দিয়ে ৬৪ জেলা, ১২টি সিটি করপোরেশন ও ৩২৯টি পৌরসভার সব অভিযোগ সমাধান করা অসম্ভব। সে কারণে ম্যানুয়ালি না করে আমরা একটি সেন্ট্রাল সিস্টেম ডেভেলপ করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ডেলিভারির জন্য যেন সেন্ট্রাল লজিসটিকস ট্যাকিং সিস্টেম থাকে।
তিনি বলেন, বিকাশ-নগদে হয়তো লেনদেন হচ্ছে কিন্তু কেউ কারও সঙ্গে সংযুক্ত নয়। তাই আমরা ইচ্ছা করলেই ভেরিফাই করতে পারছি না। কোন উদ্যোক্তা কত টাকা বিনিয়োগ করছে সেটা জানা যাচ্ছে না। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নাম অনুযায়ী, জয় ভাইয়ের পরামর্শে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা নিয়ে আমরা ‘বিনিময়’ তৈরি করছি। ছয় মাসের মধ্যে এটি আমরা ওপেন করবো।
‘আমরা প্রত্যাশা করছি, বিকাশমান ডিজিটাল সলিউশনগুলো দেওয়ার মধ্য দিয়ে আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ই-কমার্স সিস্টেমকে গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে আসতে পারবো। চারটি প্লাটফর্ম তৈরির মাধ্যমে বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে ডিজিটাল কমার্সের আলটিমেটাম গোল পূর্ণ করতে পারবো।’
Advertisement
আইএইচআর/আইএইচ/এমআরএম/জিকেএস