বিভিন্ন কারণে ঘাড়ে যন্ত্রণা হতে পারে। রাতে ভুলভাবে ঘুমানো, একনাগাড়ে কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা কিংবা ব্যায়াম করতে গিয়েও হঠাৎ ঘাড়ে ব্যথা হয়ে থাকে অনেকেরই। তবে ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা ও মুখে ওই যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়ার কারণ হতে পারে ভিন্ন।
Advertisement
এই লক্ষণ হতে পারে নিউরলজিয়ার। এক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট জায়গার স্নায়ু কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর সে কারণে ওই স্নায়ু অঞ্চলে হয় প্রচণ্ড ব্যথা।
এক্ষেত্রে মুখ ও ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। দিনের যে কোনো সময়ই হঠাৎ করে এই যন্ত্রণা হতে পারে। নিউরলজিয়ার পেছনে নার্ভ ড্যামেজ হওয়া ছাড়াও কেমিক্যাল ইরিটেশন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, ডায়াবেটিস, হারপিস জস্টার, এইডস, লাইম ডিজিজ, সিফিলিসের মতো কোনো সংক্রমণ থাকতে পারে।
এ ছাড়াও কিসপ্ল্যাটিন, প্যাসিলিট্যাক্সেল বা ভিনক্রিসটাইনের মতো ওষুধে খেলেও দেখা দিতে পারে এই সমস্যা। পাশাপাশি সেই অংশের পেশি, লিগামেন্ট, রক্তবাহীনালী চাপ সৃষ্টি করলেও হতে পারে নিউরলজিয়া। তবে কীভাবে বুঝবেন এই ব্যথা নিউরলজিয়ার কারণে হচ্ছে?
Advertisement
ঘাড়ে বা মুখের কোনো কোনো অংশে অসম্ভব যন্ত্রণা হলে বুঝতে হবে সমস্যাটা নিউরলজিয়ার। বিশেষ করে যখনই মুখ বা ঘাড়ের ওই অংশ স্পর্শ করবেন তখন আরও যন্ত্রণা হতে পারে। তবে এই ব্যথা সব সময় থাকে না।
যে কোনো সময় ব্যথা হতে পারে। আর যখন হয় তা সহ্য করা কষ্টকর হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে ঘাড় নাড়ানো আরও কষ্টকর হয়। মনে হয় এই অংশটা প্যারালাইসড হয়ে গিয়েছে। এ রকম কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
এই সমস্যা পরীক্ষার জন্য বিশেষজ্ঞ আপনার লক্ষণ জিজ্ঞেস করবেন। এক্ষেত্রে এমআরআই, সিটি স্ক্যান করতে হতে পারে। তবে মুখের ব্যথার কারণ অনেক সময় দাঁতের সমস্যার কারণেও হয়ে থাকে।
এক্ষেত্রে কোন জায়গায় যন্ত্রণা হচ্ছে এর উপর নির্ভর করে চিকিৎসক ব্যথা কমানোর ওষুধ দিতে পারেন। এ ছাড়াও স্নায়ুর সমস্যা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছালে অপারেশনও করা লাগতে পারে। এক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপিও এক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
Advertisement
এমন সমস্যা ঘন ঘন দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। রোগ যত দ্রুত ধরা পড়বে চিকিৎসা করতে হবে ততই সুবিধা।
এর পাশাপাশি আপনার কোনো কাজের জন্য যদি এ সমস্যা বেশি হয়, সেক্ষেত্রে ওই কাজ কমাতে হবে। যেমন- দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে টাইপ করা বা ঘাড় গুঁজে পড়াশোনা করা ইত্যাদি।
সূত্র: মায়ো ক্লিনিক/ওয়েব এমডি
জেএমএস/এমএস