খেলাধুলা

ধোনির নামে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা

ভাগ্যিস দু’দিন আগে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর অন্ধ্র প্রদেশের অনন্তপুর জেলার একটি আদালত নির্দেশটা জারি করেছে আজ। আর কয়েকদিন আগে আদেশটা জারি হলে ধোনির হয়তো অস্ট্রেলিয়াতেই যাওয়া হতো না আর। কারণটা কি! আদালতের পরোয়ানা। জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে ভারতীয় ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির নামে।ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলার জন্য ভারতীয় দল এখন অস্ট্রেলিয়ায়। ১২ জানুয়ারি পার্থে শুরু হবে ওয়ানডে সিরিজ। যদিও সিরিজ শুরুর আগেই বড় একটি ধাক্কা খেলো ভারতীয় দল। অধিনায়কের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর। অন্ধ্রপ্রদেশের জেলা অনন্তপুরের আদালত মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।মামলার বিষয়টিও নতুন নয়। বেশ পুরোনো। ২০১৩ সালে একটি ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে ধোনির ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। ওই বিজ্ঞাপনে ধোনিকে দেখানো হয়েছিল দেবতা বিষ্ণু হিসেবে, বিষ্ণুর মতো ধোনির ছবিতে ব্যবহার করা হয়েছিল একাধিক হাত। একেক হাতে ধরে রাখা একেকটি পণ্য। এর মধ্যে একটি হাতে ধরা ছিল জুতাও। হেডলাইন ছিল ‘দ্য গড অব বিগ ডিলস।’ সেই জুতা ঘিরেই ঝামেলার শুরু। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেদা সায়েম সুন্দর হিন্দুদের ধর্মানুভূতিতে আঘাত হেনেছে মর্মে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এছাড়া জয় কুমার হিরেমাথ নামক এক সমাজকর্মীও এই দেবতার ছবিকে অপমান করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। ফৌজদারি মামলা হিসেবেই দায়ের করা হয়েছিল সেটি।উচ্চ আদালত অবশ্য ফৌজদারি মামলার হাত থেকে রেহাই দিয়েছিলেন ধোনিকে। কিন্তু পুরোপুরি পার পাননি ধোনি। আদালত এ প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, ধোনির মতো একজন তারকা ক্রিকেটারের জানা থাকা উচিত মানুষের ধর্মানুভূতিতে ধাক্কা দেওয়ার ফল কী হতে পারে। তার বোঝা উচিত ছিল এ ধরনের বিজ্ঞাপনে কাজ করার পরিণাম খারাপ কিছু হতে পারে।মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক করা হয়েছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। তবে এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থানরত ভারত অধিনায়ককে এর মধ্যে দেশে ফিরতে হবে কি না, আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি।তবে ধোনির পক্ষ থেকে তার ম্যানেজমেন্ট জানিয়েছে, ‘এই ছবির জন্য কোনভাবেই ধোনি দায়ী নয়। কারণ তিনি এই ছবির জন্য কোন পোজ দেননি কিংবা তিনি নিজেও ওই ছবির বানাননি এবং প্রকাশ করেননি।’আইএইচএস/এমএস

Advertisement