এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানসহ চারজনকে আইনি নোটিশ দিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বাকিরা হলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেন।
Advertisement
জায়েদ খান শুক্রবার নিশ্চিত করলেন, গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এই আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে।
এদিকে শনিবার চলমান নির্বাচনী ঝামেলার সার্বিক বিষয়ের নিষ্পত্তির জন্য জরুরি বৈঠক ডেকেছেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান। সেখানে উপস্থিত থাকতে অভিযোগকারী শিল্পী সমিতির নির্বাচনের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ, অভিযুক্ত সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খান ও কার্যকরী সদস্য পদে জয়ী চুন্নুকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দুই সদস্য জাহিদ হোসেন ও বি এইচ নিশান, শিল্পী সমিতির সভাপতি পদে জয়ী ইলিয়াস কাঞ্চনকে উপস্থিত হতেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বিকেল ৪টায়। তবে এই বৈঠক অবৈধ দাবি করে এতে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জায়েদ।
Advertisement
তিনি বলেন, ‘গত ২৯ জানুয়ারির পর আপিল বোর্ডের কার্যক্রম অবৈধ। নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল পাঁচটার পর থেকে আপিল বোর্ড মেয়াদ উত্তীর্ণ। তারা কী করে নির্বাচনের বৈঠক ডাকতে পারে, আমার তা প্রশ্ন। আমি তাই এই বৈঠকে যাব না।’
আইনি নোটিশে জায়েদ খান উল্লেখ করেন, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নাকি একটি বৈঠক ডেকেছে সেখানে আমাকেও উপস্থিত থাকতে হবে, এই মর্মে আমার পিয়নের কাছে চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে।
আপিল বোর্ড ২৯ তারিখ বিকেল পাঁচটার পর আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে এবং নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে গেছেন। এখানেই আপিল বোর্ডের কাজ শেষ। তারা এখন যা করছেন সব অবৈধ।
এদিকে আইনি নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান।
Advertisement
শিল্পী সমিতির নির্বাচনের তফসিলের ১৩ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, ‘নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে আপিল বোর্ডের কাছে ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে আপত্তি দাখিলের শেষ তারিখ ২৯ জানুয়ারি। আপিল দাখিলের সময় সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। একই তারিখ বিকেল ৫টায় আপিল শুনানি ও নিষ্পত্তি করতে হবে।’
এলএ/এমআরআর