‘মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে বাংলাদেশে জলাভূমির পরিমাণ দিনদিন কমে যাচ্ছে। জলাভূমি রক্ষা করা না গেলে মাছ, ফসলসহ সব ধরনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।’ ২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব জলাভূমি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স সেন্টারের (সিএনআরএস) পরিচালক ও জলাভূমি বিশেষজ্ঞ মো. আনিসুল ইসলাম এ কথা বলেন।
Advertisement
অনলাইন আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে তিনি বলেন, ‘প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হলে নদী-নালা, হাওর, বাঁওড়সহ সব ধরনের জলাভূমি রক্ষার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। জলাভূমি রক্ষার্থে শিল্পকারখানায় ইটিপি স্থাপন বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেগুলো নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে।’
‘মানুষ ও প্রকৃতির জন্য জলাভূমি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ পরিবেশবিদ সোসাইটি আয়োজিত অনলাইন আলোচনা সভার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পরিবেশবিদ সোসাইটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশবিদ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান।
আলোচনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের শতাধিক পরিবেশ স্নাতকসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিভাগে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন কানাডার প্রিন্স অ্যাডওয়ার্ড আইল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ড. আমিনুর রহমান শাহ।
Advertisement
১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি কাসপিয়ান সাগরের তীরবর্তী ইরানের রামসার শহরে পরিবেশবাদীদের আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে জলাভূমির আন্তর্জাতিক উপযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশ ১৯৯২ সালে ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এসইউ/এমএস