কাতালান ডার্বিতে ম্যাচের সঙ্গে এবং লিওনেল মেসির প্রায় সাড়ে তিনশো কোটির পা— দুটোই হারাতে বসেছিল বার্সেলোনা; কিন্তু শেষ পর্যন্ত দুটো অঘটনের হাত থেকেই বেঁচে গেল ন্যু ক্যাম্পের ক্লাবটি।বুধবার রাতে শুরুতেই গোল খেয়েছিল বার্সেলোনা; কিন্তু মেসির দুর্দান্ত দুটো গোল এগিয়ে দেয় দলকে। তিন নম্বর গোল আসে জেরার্ড পিকের পা থেকেঅ। বার্সেলোনা যখন ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে, ওই সময়ই দ্বিতীয়ার্ধে সেই ভয়ংকর ঘটনাটা ঘটতে যাচ্ছিল। এস্পানিওলের বক্সে পড়ে যান মেসি। ওই সময় এস্পানিওল গোলকিপার পাও লোপেজ বল ধরার পর মেসির পায়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। যন্ত্রণায় মেসিকে কাতরাতে দেখা যায়। সৌভাগ্যবশত মেসির পায়ের বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। উত্তেজিত এলএম টেন এর পর উঠে তেড়ে যান লোপেজের দিকে। সুয়ারেজ এসে মেসিকে শান্ত করেন। এরপর বার্সেলোনার হয়ে চতুর্থ গোল করেন নেইমার।কোপা দেল রে-র শেষ ষোলোর প্রথম পর্বে এস্পানিওলের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে চোখ ঝলসানো ফুটবলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছে বিতর্কও। বিরতির পর থেকে ফুটবল কম, খেলোয়াড়দের ঝগড়া হল বেশি। যে সময়ে মেসি চোট পেতে পারতেন তার সাড়ে তিনশো কোটিরও বেশি মূল্যের ইনসিওরেন্স করা পায়ে। পরে আবার সুয়ারেজের সঙ্গে ঝামেলা করে লাল কার্ড দেখেন এস্পানিওলের দুই ফুটবলার— হার্নান পেরেজ ও পাপাকুলি দিওপ।উত্তেজনার রেশ ম্যাচ শেষে টানেলেও ছড়িয়ে পড়েছিল। স্প্যানিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ম্যাচ শেষে সুয়ারেজও মেজাজ হারান। টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে সুয়ারেজ অপেক্ষা করছিলেন এস্পানিওল ফুটবলারদের জন্য। ড্রেসিংরুমের রাস্তায় তাদের ইঙ্গিত করে অকথ্য গালিগালাজ দেন ‘এল পিস্তলেরো’। এতে চটে গিয়ে আবার এস্পানিওল কোচ থেকে ফুটবলার, সবাই তেড়ে আসেন বার্সার দিকে।যদিও ঝামেলার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বার্সা তারকা আন্দ্রে ইনিয়েস্তা বলেন, ‘এ সমস্ত ম্যাচে ঝামেলা হয়েই থাকে। ডার্বি মানেই মাঠে আলাদা উত্তেজনা থাকে। অনেক বেশি ফাউলও দেখা যায়; কিন্তু সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কিছু নেই।’ যে দিওপ লাল কার্ড দেখেন, তার বক্তব্য, ‘আমরা মোটেও বার্সেলোনাকে ফাউল করতে আসিনি। সত্যিকারের মারলে ওদের স্ট্রেচারে করে বাড়ি ফিরতে হত।’আইএইচএস/পিআর
Advertisement