মতামত

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিক ও প্রসঙ্গ কথা

ব্যাহন পিয়ে দ্য কুব্যাখ্তা (Baron Pierre de Coubertin)। ফরাসি ভাষায় তার নামের উচ্চারণ অনেকটা এমনই। কিন্তু তাকে আমরা ছোটবেলা থেকে চিনে এসেছি ব্যারন পিয়েরে দ্য কুবের্তা নামেই। ফরাসি নামের ইংরেজিকরণ আরকি! হ্যাঁ, এই ফরাসি শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদকেই আমরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জেনে এসেছি। অথচ তিনি আইওসি-র একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন না। তার সঙ্গে আইওসি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন দেমেত্রিয়োস ভিকেলাস (Demetrios Vikelas)।

Advertisement

এই গ্রিক ব্যবসায়ী ও লেখক আইওসি’র প্রথম প্রেসিডেন্টও ছিলেন (১৮৯৪ থেকে ১৮৯৬ সাল পর্যন্ত)। কুব্যাখ্তা ছিলেন আইওসি’র দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট (১৮৯৬ থেকে ১৯২৫ সাল পর্যন্ত)। আইওসি’র দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হলেও পরবর্তীকালে তিনিই ‘আধুনিক অলিম্পিকের জনক’ হিসেবে স্বীকৃতি পান। সম্ভবত এ কারণেই ভিকেলাসের নাম আমরা ছোটবেলায় তেমন একটা শুনিনি।

আইওসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৮৯৪ সালে। আর প্রথম আধুনিক গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল গ্রিসের এথেন্সে, ১৮৯৬ সালে। প্রথম অলিম্পিকে মাত্র ১৪টি দেশের ২৪৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশ নিয়েছিলেন। তাদের দুই শতাধিক আবার ছিলেন গ্রিসের। তবে প্রতিযোগিতায় কোনো নারী ক্রীড়াবিদকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। কুব্যাখ্তা শুরুর দিকে বিশ্বাস করতেন যে, নারীদের অলিম্পিকের বাইরে রাখা উচিত; কারণ, নারীরা পুরুষ ক্রীড়াবিদদের পারফরম্যান্সের ওপর ‘নেতিবাচক’ প্রভাব ফেলতে পারে।

এ অন্যায় ধারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গ্রিসের নারী দৌড়বিদ স্তামাতা রেভিসি (Stamata Revithi)। তিনি পুরুষদের ৪০ কিলোমিটার ম্যারাথন শেষ হওয়ার পরদিন একা একা ম্যারাথনে দৌড়ান এবং প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা সময় নিয়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেন। কিন্তু তাকে এথেন্সের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি; না অলিম্পিক কমিটি তার অর্জনকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বলা চলে, স্তামাতার প্রতিবাদের ফলস্বরূপই ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে নারী ক্রীড়াবিদদের অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়। সেবার ২২ জন নারী ক্রীড়াবিদ অংশ নেন, যারা ছিলেন মোট ক্রীড়াবিদের মাত্র ২ দশমিক ২ শতাংশ। ওদিকে অলিম্পিকে নারীদের ম্যারাথন যুক্ত হয় অনেক পরে, ১৯৮৪ সালের লস এঞ্জেলেস গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে।

Advertisement

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের সাড়ে ৭ মিটার উঁচু মাসকট

শীতকালীন অলিম্পিক গেমসে অবশ্য শুরু থেকেই নারী ক্রীড়াবিদরা অংশগ্রহণ করে আসছেন। প্রথম শীতকালীন অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হয় ১৯২৪ সালে, ফ্রান্সের শামোনি (Chamonix) শহরে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন অলিম্পিক একই বছর অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু ১৯৮৬ সালে আইওসি সিদ্ধান্ত নেয় যে, দুই অলিম্পিকের মধ্যে দুই বছরের গ্যাপ রাখা হবে। ফলে ১৯৯২ সালের শীতকালীন অলিম্পিকের পর ১৯৯৪ সালেও শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়। তার পর থেকে নিয়ম করে প্রতি চার বছর পর পর শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

এখন চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৪তম শীতকালীন অলিম্পিক গেমস। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই বেইজিংকে এ অলিম্পিক আয়োজনের জন্য নির্বাচিত করে আইওসি। আয়োজক হওয়ার দৌড়ে বেইজিংয়ের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল কাজাখস্তানের রাজধানী আলমাতি। ভোটাভুটিতে বেইজিং জিতে যায় ৪৪-৪০ ব্যবধানে। এরই সঙ্গে অলিম্পিকের ইতিহাসে এক অনন্য উচ্চতায় উঠে যায় বেইজিং।

অনেকেই এখন বেইজিংকে ডাকছেন ‘ডাবল অলিম্পিক সিটি’ বলে। কারণ, বেইজিংই হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র শহর, যে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পাশাপাশি শীতকালীন অলিম্পিক গেমস আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে। সবাই জানেন, বেইজিং ২০০৮ সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজন করেছিল। সেটি ছিল স্মরণকালের সফলতম অলিম্পিকগুলোর একটি। শুধু তাই নয়, চীন সেবারই প্রথম অলিম্পিকের পদকতালিকার শীর্ষস্থানটিও দখল করতে সক্ষম হয়েছিল।

Advertisement

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিককে ‘পরিবেশবান্ধব অলিম্পিক’ বলেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে। কারণ, গেমসকে ‘কার্বননিরপেক্ষ’ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনের সরকার। অলিম্পিককে ঘিরে যত ধরনের কর্মকাণ্ড চলবে, কোনোটিতেই কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে না। অন্যভাবে বললে, অলিম্পিকের কোনো কাজে এমন কোনো জ্বালানি বা যন্ত্র ব্যবহার করা হবে না, যা কার্বন-ডাই-অক্সাইড উৎপন্ন করবে। উল্টো কার্বন-ডাই-অক্সাইড দিয়ে তৈরি হবে বরফ, অলিম্পিকের মশাল জ্বলবে সবুজ জ্বালানিতে, যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করা হবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি ও ট্রেন। অলিম্পিকের ইতিহাসে এমনটি আগে কখনও ঘটেনি।

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিককে ‘সাশ্রয়ী অলিম্পিক’ বলেও দাবি করা হচ্ছে। এ অলিম্পিক আয়োজনে আনুমানিক ৩৯০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় হবে, যা ২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের ব্যয়ের দশ ভাগের এক ভাগেরও কম। ২০০৮ বেইজিং অলিম্পিক আয়োজনে চীনের ব্যয় হয়েছিল ৪৩০০ কোটি মার্কিন ডলার।

এটা অবশ্য ঠিক যে, শীতকালীন অলিম্পিক আকারে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের চেয়ে ছোট। ২০০৮ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের ১০,৯৪২ জন ক্রীড়াবিদ (৬,৩০৫ পুরুষ ও ৪,৬৩৭ নারী) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অন্যদিকে, বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে ৯০টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় ৩ হাজার ক্রীড়াবিদ অংশ নিচ্ছেন।

২০০৮ বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ২৮টি ক্রীড়ার ৪১টি ডিসিপ্লিনে মোট মেডেল-ইভেন্ট ছিল ৩০২টি। বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকে সাতটি ক্রীড়ার ১৫টি ডিসিপ্লিনে ১০৯টি মেডেল-ইভেন্ট থাকছে। আগের শীতকালীন অলিম্পিকে ছিল ১০২টি মেডেল-ইভেন্ট। এবার সাতটি নতুন মেডেল-ইভেন্ট যুক্ত হয়েছে।

শীতকালীন অলিম্পিকের ১৫টি ডিসিপ্লিন হচ্ছে: আলপাইন স্কিইং (১১টি মেডেল-ইভেন্ট), বায়াথলন (১১টি মেডেল-ইভেন্ট), ববস্লেই (৪টি মেডেল-ইভেন্ট), ক্রস-কান্ট্রি স্কিইং (১২টি মেডেল-ইভেন্ট), কার্লিং (৩টি মেডেল-ইভেন্ট), ফিগার স্কেটিং (৫টি মেডেল-ইভেন্ট), ফ্রিস্টাইল স্কিইং (১৩টি মেডেল-ইভেন্ট), আইস হকি (২টি মেডেল-ইভেন্ট), লুজ (৪টি মেডেল-ইভেন্ট), নর্ডিক কম্বাইন্ড (৩টি মেডেল-ইভেন্ট), শর্ট ট্র্যাক স্পিড স্কেটিং (৯টি মেডেল-ইভেন্ট), স্কেলেটন (২টি মেডেল-ইভেন্ট), স্কি জাম্পিং (৫টি মেডেল-ইভেন্ট), স্নোবোর্ডিং (১১টি মেডেল-ইভেন্ট), এবং স্পিড স্কেটিং (১৪টি মেডেল-ইভেন্ট)।

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের পদক (সামনের দিক)

২০০৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের স্বাগতিক দেশ চীন পদক তালিকার শীর্ষস্থানে ছিল। টোকিও গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকেও চীন দ্বিতীয় স্থান পায়। প্রশ্ন হচ্ছে এবারের শীতকালীন অলিম্পিকে চীনের ক্রীড়াবিদরা কেমন করবেন? এ প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে যদি আমরা শীতকালীন অলিম্পিকের ইতিহাসের দিকে একটু ফিরে তাকাই। ২০১৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনুষ্ঠিত শীতকালীন অলিম্পিকে নরওয়ে ১৪টি স্বর্ণপদকসহ মোট ৩৯টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থান লাভ করে। ১৪টি স্বর্ণপদকসহ মোট ৩১টি পদক পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল জার্মানি। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ছিল চতুর্থ। ৫টি স্বর্ণপদক পেয়ে অস্ট্রিয়ার অবস্থান ছিল দশ নম্বরে। বলাবাহুল্য, প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে চীনের নাম ছিল না।

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের আগে মোট ২৩টি শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ২৩টি অলিম্পিকে নরওয়ে ১৩২টি স্বর্ণপদকসহ মোট ৩৬৮টি পদক পেয়ে শীর্ষস্থানে আছে। দ্বিতীয় স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র, ১০৫টি স্বর্ণসহ মোট ৩০৭টি পদক।

পরের স্থানগুলো হচ্ছে যথাক্রমে জার্মানি (৯৩টি স্বর্ণপদক), সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (৭৮টি স্বর্ণপদক), কানাডা (৭৪টি স্বর্ণপদক), অস্ট্রিয়া (৬৪টি স্বর্ণপদক), সুইডেন (৬১টি স্বর্ণপদক), সুইজারল্যান্ড (৫৫টি স্বর্ণপদক), রাশিয়া (৪৭টি স্বর্ণপদক), নেদারল্যান্ডস (৪৫টি স্বর্ণপদক), ফিনল্যান্ড (৪৪টি স্বর্ণপদক), ইটালি (৪০টি স্বর্ণপদক), সাবেক পূর্ব জার্মানি (৩৯টি স্বর্ণপদক), ফ্রান্স (৩৬টি স্বর্ণপদক), দক্ষিণ কোরিয়া (৩১টি স্বর্ণপদক), জাপান (১৪টি স্বর্ণপদক), চীন (১৩টি স্বর্ণপদক), পশ্চিম জার্মানি (১১টি স্বর্ণপদক), গ্রেট ব্রিটেন (১১টি স্বর্ণপদক), চেক রিপাবলিক (৯টি স্বর্ণপদক)।

এর মধ্যে নরওয়ে সর্বোচ্চ আটবার পদক তালিকার শীর্ষস্থানটি দখল করেছিল। শীর্ষস্থান দখলের ক্ষেত্রে পরের চারটি স্থান আছে যথাক্রমে সোভিয়েত ইউনিয়ন (৭ বার), জার্মানি (৩ বার), রাশিয়া (২ বার) ও যুক্তরাষ্ট্র (এক বার)।

মোট পদকপ্রাপ্তির দিক দিয়ে বিগত ২৩টি শীতকালীন অলিম্পিকে চীনের অবস্থান ১৭তম। এ থেকে অবশ্য পুরোপুরি আন্দাজ করা মুশকিল যে, এবার চীন কেমন করবে। শীতকালীন অলিম্পিকের আয়োজক-দেশ হওয়ার পর থেকেই চীন বরফ ও তুষার ক্রীড়ায় ভালো করবার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করেছে।

খুব সাবধানে বাছাই করা হয়েছে অলিম্পিকের জন্য ক্রীড়াবিদদের। এমন ক্রীড়াবিদও বাছাই করা হয়েছে, যারা কখনও তুষার দেখেনইনি! তাদের অন্তত একজনের কথা জানি, যিনি কানাডায় প্রশিক্ষণ নিতে গিয়ে প্রথম তুষার দেখেছেন! কিন্তু তুষার না দেখলেও, তাদের শারীরিক ও মানসিক গড়ন এবং ক্রীড়াক্ষেত্রে ভালো করার অদম্য আকাঙ্ক্ষার কারণেই তাদের বাছাই করা হয়। তারপর তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, দেশে ও বিদেশে। বাছাই করা এই ক্রীড়াবিদরা কঠোর প্রশিক্ষণের পর অলিম্পিকের মূল আসরে ভালো করার জন্য মুখিয়ে আছেন।

শীতকালীন অলিম্পিকে চীনের ক্রীড়াবিদরা কেমন করেন, কয়টা স্বর্ণপদক জয় করেন, তা দেখার জন্য আমাদের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে এবার পদক যা-ই জুটুক না কেন, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে যে, শীতকালীন ক্রীড়ায় চীনের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। ‘বেইজি ২০২২’ শীতকালীন ক্রীড়ার প্রতি চীনাদের দৃষ্টিভঙ্গিই বদলে দিয়েছে আমূল।

বেইজিং শীতকালীন অলিম্পিকের পদক (পিছনের দিক)

একসময় চীনে শীতকালীন ক্রীড়া, বলতে গেলে, উত্তরাঞ্চলের একটা তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র এলাকাজুড়েই সীমাবদ্ধ ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে সে অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। এখন বলতে গেলে গোটা চীনজুড়েই শীতকালীন ক্রীড়ার চর্চা হচ্ছে। এমনকি কখনও তুষার পড়ে না, এমন বহু জায়গায়ও শীতকালীন ক্রীড়া চর্চার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে।

শীতকালীন ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহী চীনার সংখ্যাও ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কয়েক বছর আগেও চীনে খুবই কম মানুষ বরফ ও তুষার ক্রীড়ার প্রতি আগ্রহ দেখাতো। এখন চীনের ২৪.৫৬ শতাংশ মানুষ তথা ৩৪ কোটি ৬০ লাখ মানুষ শীতকালীন ক্রীড়া চর্চা করে। এ সংখ্যা দিন দিন বাড়বে বৈ কমবে না। হয়তো এভাবেই চীন একদিন গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের মতো শীতকালীন অলিম্পিকেও শীর্ষস্থান দখল করবে। এমন আশা করা যেতেই পারে।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)।alimulh@yahoo.com

এইচআর/ফারুক/জিকেএস