প্রবাস

ভূমধ্যসাগরে মৃত ৭ বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লিবিয়া থেকে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার উদ্দেশে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিতে গিয়ে (শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া) প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত সাত বাংলাদেশির মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

Advertisement

গত ২৫ জানুয়ারি অতিরিক্ত ঠান্ডায় না ফেরার দেশে চলে যান সাত বাংলাদেশি। তাদের মরদেহ দেশে পাঠাতে অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে রোম বাংলাদেশ দূতাবাস। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষ করে মরদেহ দেশে পাঠাতে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। তবে, ইতালির যে বিমানবন্দর থেকে মরদেহগুলো দেশে পাঠানো হবে সেখানে ফ্লাইটের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। ফলে কয়েক দিন দেরি হতে পারে।

এ বিয়ষে জানতে যোগাযোগ কথা হয় রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর (শ্রম কল্যাণ) মো. এরফানুল হক সঙ্গে। তিনি জানান, দেশে সাত বাংলাদেশির মরদেহ পাঠানোর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বিমান টিকিট পেলেই মরদেহ দেশে পাঠানো শুরু হবে। তবে, কাতানিয়া হতে সপ্তাহে একটিমাত্র বিমানে সর্বোচ্চ দু'টি মরদেহ পরিবহন করা সম্ভব। এর ফলে এতে দীর্ঘ সময় লাগবে তাই রোম হয়ে পাঠানোর প্রচেষ্টা চলছে।

ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারানো সাত বাংলাদেশি হলেন- ১. ইমরান হোসেন, গ্রাম পশ্চিম পিয়ারপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর; ২. জয় তালুকদার ওরফে রতন, গ্রাম পিয়ারপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর; ৩. সাফায়েত, গ্রাম ঘটকচর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর; ৪. জহিরুল, গ্রাম মোস্তফাপুর, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর; ৫. বাপ্পী, উপজেলা মাদারীপুর সদর, জেলা মাদারীপুর; ৬. সাজ্জাদ, গ্রাম মামুদপুর, উপজেলা জামালগঞ্জ, জেলা সুনামগঞ্জ; ৭. সাইফুল, উপজেলা ভৈরব, জেলা কিশোরগঞ্জ।

Advertisement

এ ব্যাপারে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ইতালি প্রবাসি কয়েকজন বাংলাদেশি মনে করেন যেহেতু এ পথটি খুবই ভয়ংকর জীবনের স্বার্থে এ রাস্তাকে পরিহার করা উচিত। তবে, অনেকেই জীবনের স্বচ্ছতা এবং পরিবারের সুখের আশায় অনিশ্চিত এ পথে এসে অকালে প্রাণ হারান।

২৫ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালির ল্যাম্পেদুসা দ্বীপে যাওয়ার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় সাত বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া এসব বাংলাদেশির পরিচয় তাৎক্ষণিক ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।

এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement