কৃষি ও প্রকৃতি

কাশ্মীরী কুল চাষে তিন শিক্ষার্থীর চমক!

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে লেখাপড়ার পাশাপাশি কৃষি কাজ করে সফল হয়েছেন তিন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মধ্য ভদ্রঘাটের ওমর ফারুক, সাদ্দাম ও শাহাদত।

Advertisement

লেখাপড়ার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হয়ে কৃষি কাজ করে সাফল্যের শীর্ষে যেতে চান এ তিন শিক্ষার্থী। তারা এখন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র। কৃষিতে এ তিন শিক্ষার্থীর সফলতা সবাইকে চমকে দিয়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে, পুরো বাগান যেন এখন সবুজ আর লাল রঙে ছেয়ে গেছে। মধ্য ভদ্রঘাট এলাকায় কয়েক বিঘা জমিতে গড়ে তোলা তাদের কৃষি খামারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন তারা। শুরুতেই কৃষিতে তারা পেয়েছেন দারুণ সফলতা।

গতবছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে সিরাজগঞ্জ খোকশাবাড়ি হর্টিকালচারাল সেন্টার থেকে কাশ্মীরী কুলের ১১০০টি, মাল্টার ১০০টি ও থাই পেয়ারার ৬০০টি চারা নিয়ে তাদের খামারের যাত্রা শুরু হয়। বছর শেষে এরই মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন। এখন বিপ্লব ঘটেছে কাশ্মীরী কুলে।

Advertisement

বর্তমানে তাদের বাগানের কুল প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৩০০০ থেকে ৩২০০ টাকা করে। ১০০টি গাছে এ বছর প্রায় ২০ মণ কুল ধরেছে। কুল বিক্রিও শেষের দিকে।

তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা ওমর ফারুক বলেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি পতিত জমিতে মিশ্র ফলের বাগান করে আমরা লাভের মুখ দেখছি। প্রতিটি ফল গাছ অনেক সুন্দর হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহায়তা করছে। প্রথম বছরই কাশ্মীরী কুল বিক্রি করে খরচ তুলে লাভের মুখ দেখছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘বছরজুড়ে ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় মিশ্র ফল বাগান প্রদর্শনীর মাধ্যমে তারা এ কৃষি খামার গড়ে তুলেছেন। আমরা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছি। নিয়মিত তাদের কৃষি খামার পরিদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছি।’

এমএমএফ/এসইউ/এএসএম

Advertisement