দেশজুড়ে

মাগুরা পৌর শহরে ঘুরে ঘুরে টিকা দিচ্ছে প্রশাসন

করোনা রোধে শতভাগ ভ্যাক্সিনেশনের আওতায় আনতে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। যারা এখনো কোনো ডোজ নেননি জেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তাদের টিকা দেওয়া হবে।

Advertisement

সিভিল সার্জন ডা. শহীদুল্লাহ দেওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চৌরঙ্গী মোড়ের সুমন নামের এক দোকানিকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শহরের চৌরঙ্গী মোড়, ঢাকার রোড বাসস্ট্যান্ড, চাউলিয়া স্ট্যান্ড, ভায়না মোড়, নতুন বাজার শ্রীপুর স্ট্যান্ড, পারনান্দুয়ালী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, পৌরসভার সামনে করোনার টিকা দেওয়া হবে। যারা এখনো নেননি তাদের চিহ্নিত করে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হবে। এ কাজে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যরা সহযোগিতা করছেন। প্রথম ডোজ দেওয়ার পর টিকা গ্রহণকারীদের হাতে একটি করে সনদ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এ সনদের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় টিকার দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

টিকা গ্রহণকারী চৌরঙ্গী মোড়ের চা দোকানি সুমন হোসেন বলেন, বৃদ্ধ বাবা মা, স্ত্রী সন্তান ও ছোট ভাইবোনসহ আট সদস্য নিয়ে আমার পরিবার। পরিবারে আমি একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাই সকাল থেকে রাত অবধি দোকানে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে আমি এ পর্যন্ত করোনা টিকা নিতে পারিনি। ভ্রাম্যমাণ এই টিকা ক্যাম্প চৌরঙ্গী মোড়ে অবস্থান করায় আমার পক্ষে টিকা নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

Advertisement

ইজিবাইকচালক বিল্লাল হোসেন বলেন, নিবন্ধন জটিলতার কারণে এর আগে আমি করোনা টিকা নিতে পারিনি। আজ ভায়না মোড় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ ক্যাম্পেইন থেকে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছি।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, শ্রমজীবী অনেক মানুষ জীবিকার তাগিদে নির্দিষ্ট সময়ে টিকা নিতে পারেননি। শতভাগ ভ্যাক্সিনেশন বাস্তবায়নের জন্য জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ভ্রাম্যমাণ টিকা দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

মাগুরা সিভিল সার্জন শহীদুল্লাহ দেওয়ান জাগো নিউজকে বলেন, নিবন্ধন জটিলতার কারণে যারা এখনো করোনা টিকা নিতে পারেনি তাদের জন্য শহরের উন্মুক্ত স্থানে প্রথম দিন হিসেবে মঙ্গলবার থেকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে মাগুরা জেলাকে শতভাগ ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, প্রথম ডোজ দেওয়ার পর টিকা গ্রহণকারীদের হাতে একটি করে সনদ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে এ সনদের মাধ্যমে যেকোনো জায়গায় টিকার দ্বিতীয় বা বুস্টার ডোজ নিতে হবে।

Advertisement

এসজে/এএসএম