রাজনীতি

বিএনপি ছাড়ার অপেক্ষায় নেতারা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভুল নীতির কারণে দলটির নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থার সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, `শুধু শরিকরা নয়, বিএনপি থেকে নিজ দলের অনেক নেতাই বেরিয়ে অাসার অপেক্ষায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যৌথসভা-পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও এর বিভিন্ন ইউনিটের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। আবদুল লতিফ নেজামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের ২০-দলীয় জোট ছাড়ার ঘোষণার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘ইসলামী ঐক্যজোট কী কারণে জোট ছেড়েছে, সেটা এই মুহূর্তে আমরা সঠিকভাবে বলতে পারি না। তবে সাম্প্রতিককালে আমাদের দৃষ্টিতে এসেছে খালেদা জিয়া পেট্রলবোমা দিয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত করেছেন। যেটা আমাদের পবিত্র ধর্ম কখনো সমর্থন করে না। আজকে সেই কারণেই যদি কোনো দল এই অধর্মের কাজ করার জন্য জোট থেকে বেরিয়ে যায়, তাহলে সেটা স্বাভাবিক এবং যৌক্তিক।’ তিনি বলেন, আজ শুধু জোট নয়, বিএনপির অনেক নেতাই সন্ত্রাসী ও অনৈতিক কাজের জন্য দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ইতোমধ্যে একজন বেরিয়ে গেছেন এবং অনেকে বেরিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। মাহবুব উল আলম বলেন, ‘সেই জন্য বলি-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী বলেই সব সময় চায় একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকুক। গণতন্ত্রের জন্য এটা অপরিহার্য। কিন্তু বিএনপির বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি নেতা-কর্মীদের যে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে, আস্থাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে, এর ভবিষ্যৎ একমাত্র তারাই ভালো বলতে পারে।’‘আওয়ামী লীগ ভয় পেয়ে সংলাপে আসতে চাচ্ছে না’-বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন মন্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘খালেদা জিয়া শহীদদের সম্পর্কে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখার জন্য এবং ওনার দলের আরেকজন শীর্ষ নেতা শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে বক্তব্য রাখার জন্য সারা দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল, ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছিল। এই ক্ষোভের কারণে বিএনপির শীর্ষ নেতারা পৌরসভা নির্বাচনে ভয়ে প্রচারে যেতে পারে নাই। তাদের অনেক শীর্ষ নেতারা এমনকি খালেদা জিয়া প্রচারণায় অংশ নেওয়ার কথা বলেও জনরোষের শিকার হতে পারেন—এই ভয়ে বের হন নাই।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চায় সকল সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে। কিন্তু এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো সংকট আছে? দেশে কোনো সংকট নেই। সংকট আছে খালেদা জিয়ার মনে। এই সংকট নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন আমাদের নেই।’সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক, আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, সাবেক সভাপতি এনামুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এএসএস/একে /এমএস

Advertisement