সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করলেন মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমে ব্যাট হাতে খেললেন ৪১ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস। পরে বোলিংয়েও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩ ওভারে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান। এই অলরাউন্ড নৈপুণ্যের দিনে টেবিল টপার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে ৫০ রানে হারিয়েছে ঢাকা, ম্যাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ নিজে।
Advertisement
দলকে দারুণ জয় এনে দেওয়ার ম্যাচে ব্যক্তিগত তিনটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। প্রথমে তিনি পেরিয়ে যান টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ৫ হাজার রানের মাইলফলক। পরে পূরণ করেন বিপিএল ক্য্যারিয়ারের ২ হাজার রান এবং সবশেষ মাঠ ছাড়েন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে।
আজকের ম্যাচটি শুরুর আগে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে ৫ হাজার রান হতে মাহমুদউল্লাহর প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে শহিদুল ইসলামকে স্কয়ার লেগ বাউন্ডারি দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫ হাজার রান পূরণ করেন মাহমুদউল্লাহ। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে এই মাইলফলক ছুঁলেন তিনি।
এরপর ইনিংসের শেষ ওভারে করিম জানাতের বলে কাউ কর্নার দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে ৫৩ থেকে ৫৯ রানে পৌঁছানোর পথে বিপিএল ক্যারিয়ারের ২ হাজার পূরণ করেন ঢাকার অধিনায়ক। তার আগে বিপিএলে ২ হাজার রান করতে পেরেছেন শুধুমাত্র তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
Advertisement
একই ওভারের শেষ বলে ২ রান নেওয়ার মাধ্যমে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অপরাজিত থাকেন ৪১ বলে ৭০ রান করে। যেখানে ছিল তিনটি চার ও চারটি ছয়ের মার। এর আগে ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে ৪৮ বলে ৭০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এতদিন সেটিই ছিল কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহর সেরা ইনিংস।
আজ সেটিকে ছুঁয়ে ঠিক ৭০ রানেই অপরাজিত রইলেন ঢাকার অধিনায়ক। তবে খেলেছেন ৭ কম ডেলিভারি। এছাড়া বিপিএল ক্যারিয়ারে এতোদিন তার সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৬২ রানের। আজ সেটিকে ৭০ রানে নিয়ে গেলেন। এই ইনিংসের পর বল হাতেও দারুণ করে আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এসএএস/আইএইচএস
Advertisement