বিশ্বনাথে খেলার মাঠ দখলকালে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা মামলায় ২২ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নজরুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলায় ৩০ আসামির মধ্যে আটজনের জামিন দেন আদালত। জামিন নামঞ্জুর হওয়া আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিশ্বনাথ উপজেলার চান্দ্রভরাং গ্রামের আনোয়ার হোসেন আঙ্গুর, তার ছেলে উপেজলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাহেল সামাদ ও পাবেল সামাদ, গ্রামের নুর ইসলাম, খালিছ মিয়া, শামীম আহমদ, ছমেদ মিয়া, আমির আলী, হুশিয়ার আলী, জুবায়েল আহমদ, মঞ্জুর মিয়া, মনসুর আলী, সুরত আলী, রুয়েল মিয়া, মাসুক আলী, আমির উদ্দিনসহ আরো ছয়জন। গত বছরের ২৮ অক্টোবর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামের খেলার মাঠ ও গোচর ভূমি দখলকালে ভয়ভীতি, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও আইন অমান্য করার অভিযোগে ৩ নভেম্বর আদালতে মামলা করেন একই গ্রামের মরহুম ফখর উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে বেদার উদ্দিন চৌধুরী ঝন্টি। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেয়া হয়। পিবিআই একই বছরের ৫ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। পরে আদালত দ্রুত বিচার আইনে মামলা (নং-১০/১৫) রুজু করে আসামিদের সমন জারি করেন। বৃহস্পতিবার আসামিরা হাজির হয়ে জামির চাইলে আদালত ২২ জনের আবেদন নামঞ্জুর ও আটজনের মঞ্জুর করেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম চৌধুরী জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত, চান্দভরাং গ্রামের খেলার মাঠ ও গোচর ভূমি যুগ যুগ ধরে গ্রামবাসী ব্যবহার করে আসছেন। জায়গার পরিমাণ চার একর ২৭ শতক। চান্দভরাং মৌজার, জেএল নং- ১০৩ ও এসএ দাগ নং-৪৩১৩ ও বিএস দাগ নং-৪১৬৮। এর মধ্যে মাঠের অবস্থান প্রায় দুই একর জায়গা জুড়ে। বাকি জায়গা গোচর ভূমি। ওই জায়গার এসএ রেকর্ডের মালিক ছিলেন গ্রামের মরহুম সুহেল উদ্দিন চৌধুরী, মুসন আলী। ১৯৯২ সালে আঙ্গুর মাঠের ৬৮ শতক জায়গা ভুয়া দলিল দেখিয়ে নিজের নামে রেকর্ড করে নেন। গত বছরের অক্টোবরে তিনি মাঠটি দখল করে নেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন ছাড়াও করা হয় মামলা।ছামির মাহমুদ/এআরএ/এমএস
Advertisement