বিয়ের পর দুটি মানুষ একে অপরের পাশে আসেন। একসঙ্গে থাকার সামাজিক ছাড়পত্র পান তারা। তখন স্ত্রীকে খুশি রাখার দায়িত্ব পড়ে স্বামীর উপর।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের কথায়, বর্তমানে লাভ ম্যারেজ বাড়ায় বিয়ের আগে থেকেই অধিকাংশ দম্পতি এতে অপরকে চেনেন ও জানেন। তাদের মধ্যে তৈরি হয় ভালোবাসা। কিছুটা পথ একসঙ্গে চলার পর আসে বিয়ের কথা।
তবে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ বা দেখেশুনে বিয়ের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। এই দেখেশুনে বিয়ের মাধ্যমে মানুষ একে অপরকে পছন্দ করে বিয়ে করেন।
এক্ষেত্রে মানুষ দুটির পাশাপাশি দু’টি পরিবারেরও বিয়ে হয়। তবে এক্ষেত্রে দুটি মানুষের পরিচয় হওয়ার সুযোগ অনেকটাই কম। এক্ষেত্রে নতুন পরিবারে গিয়ে বেশ সমস্যায় পড়েন নারীরা।
Advertisement
এ সময় স্বামীও যদি নতুন বউয়ের পাশে না থাকেন, তাহলে মন ভাঙতে পারে স্ত্রীর। এ অবস্থায় প্রতিটি স্বামীকেই বিয়ের পর নববধূর খেয়াল রাখার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হয়। কয়েকটি নিয়ম মেনে এ সময় আপনি স্ত্রীকে খুশি রাখতে পারেন।
তবে নতুন বলেই এসব করবেন তা কিন্তু নয়, সংসার জীবনে স্ত্রীকে খুশি রাখতে কয়েকটি নিয়ম অবশ্যই মানতে হবে। এতে স্ত্রীও থাকবে খুশি আর সংসারও হবে সুখের। জেনে নিন করণীয়-
>> সময় পেলেই স্ত্রীর পরিবারের প্রশংসা করুন। স্ত্রী যেন আপনার কোনো কথা শুনে কষ্ট না পান। তিনি যেন না ভাবেন আপনি তার পরিবারকে পছন্দ করেন না।
স্ত্রীর পরিবারের সম্পর্কে তার মুখ থেকে জানার চেষ্টা করুন। পারিবারিক বিভিন্ন গল্প শুনতে চান, দেখবেন স্ত্রীর মন ভালো হয়ে যাবে।
Advertisement
>> স্ত্রীকে উপহার দিতে ভুলবেন না। শুধু নির্দিষ্ট দিবস বা উৎসবে নয় বরং সময় পেলেই তাকে উপহার দিন। বেশি দামি নয়, ছোটখাট কিছু উপহার দিয়েও কিন্তু আপনি খুশি রাখতে পারেন স্ত্রীকে।
তবে সেই উপহার দেওয়ার মাধ্যমে যেন আপনার ভালোবাসা প্রকাশ পায়, সে বিষয় নিশ্চিত করুন। তবেই উপহার দেওয়ার মধ্যে সার্থকতা খুঁজে পাবেন। আর স্ত্রীও হবেন খুশি।
>> সব সমস্যায় স্ত্রীর পাশে থাকুন। বিয়ের পর নতুন পরিবারে এসে উঠেছেন আপনার স্ত্রী। আর নতুন পরিবারে সবাই তার অচেনা।
নিজ পরিবারের সবার সামনে স্ত্রীর প্রশংসা করুন, তাকে সবার সঙ্গে ভালোভাবে পরিচয় করিয়ে দিন। এমনকি পরিবারের কার কী পছন্দ-অপছন্দ তাও স্ত্রীকে আগে থেকেই জানানোর দায়িত্বটাও আপনার।
>> সময় পেলেই স্ত্রীর সঙ্গে ঘরতে বের হন। অনেক নারীই তার সঙ্গীর উপর অভিযোগ করেন এ বিষয়ে। একটু বেড়িয়ে আসলে দুজনের মনই ভালো থাকবে। বছরে এক থেকে দু’বার একটু লম্বা ট্রিপ করুন।
>> স্ত্রী অনেক বিষয় নিয়েই হয়তো আপনার সামনে কথা বলতে পারবে না। তাই আপনি তার খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। তার সঙ্গে খোলাখুলি সব বিষয় নিয়ে কথা বলুন। যে আপনাকে সে বন্ধু ভাবতে পারে।
স্ত্রীর ভালো ও খারাপ লাগার বিষয়গুলোও আপনার জানতে হবে। স্ত্রী যেন বুঝতে পারে আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন। বাইরে থাকলে স্ত্রীকে ঘন ঘন ফোন করুন। এসব বিষয় সব নারীকেই খুশি রাখে।
জেএমএস/জেআইএম