লাইফস্টাইল

এক পাতায় ৯ সমস্যার সমাধান!

বিভিন্ন ভেষজ উপাদান শরীরের নানা রোগর দাওয়াই হিসেবে কাজ করে। ঠিক তেমনই এক উপাদান হলো তেজপাতা। এটি সবার রান্নাঘরেই থাকে। শুধু রান্নায় ব্যবহার নয় এই পাতা বিভিন্ন রোগ সারাতেও ব্যবহার করতে পারেন।

Advertisement

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এই পাতার জুড়ি মেলা ভার। হজমের সমস্যা দূর করা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণসহ হার্টের যে কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে এই পাতা।

এ ছাড়াও তেজপাতা পোড়ানোর গন্ধ মানসিক অবসাদ, হতাশাসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। তেজপাতায় থাকে তেলজাতীয় উপদান। যা পোড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সুগন্ধ ছড়ায়।

এই পোড়া গন্ধ মন সতেজ রাখতে সাহায্য করে। অবসাদ, উদ্বেগ বা কোনো মানসিক চাপ থাকলেও এই প্রক্রিয়ায় মিলবে সুফল। এবার জেনে নিন তেজপাতা যে ৯ সমস্যার সমাধান দেবে-

Advertisement

>> তেজপাতা শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষ করে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য এটি খুবই কার্যকর।

>> শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিতেও তেজপাতার যথেষ্ট ভূমিকা আছে। এজন্য চায়ের সঙ্গে তেজপাতা মিশিয়ে খেতে পারেন।

>> অনেকের ত্বকেই ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ দেখা দেয়। এ সমস্যার সমাধানে একটি করে তেজপাতা চার কাপ পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন। দিনে ৪-৫ বার এই পানি খেলে সুফল পাবেন।

>> শরীরের কোথাও ফোঁড়ার সমস্যা হলে তেজপাতা বেটে তার উপরে প্রলেপ দিন। ব্যথা কমবে আবার ফোঁড়াও তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।

Advertisement

>> অতিরিক্ত কাশি হলে বা গলা ভেঙে যাওয়ার সমস্যা সমাধানে তেজপাতা ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি চায়ের মতো পান করলে দ্রুত স্বস্তি মিলবে।

>> অনেক সময় প্রস্রাবের রং হলুদ হয়। সেক্ষেত্রে গরম পানিতে তেজপাতা দু’ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ছেঁকে নিয়ে ২-৩ ঘণ্টা পারপর ওই পানি পান করুন। দেখবেন প্রস্রাবের রং সাদা হয়ে আসবে। পাশাপাশি প্রচুর পানি পান করতে হবে।

>> ব্রণের সমস্যায় চন্দন ও তেজপাতা একসঙ্গে বেটে মুখে লাগালে দ্রুত দাগ, ছোপ থেকে রেহাই পাবেন। এতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ। এ ছাড়াও গায়ের দুর্গন্ধ কমাতেও তেজপাতা ব্যবহার করতে পারেন।

>> চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। জানেন কি, এ সমস্যারও সমাধান আছে তেজপাতায়। এর নির্যাস ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি খুশকি ও চুলের রুক্ষতাও কমে।

>> তেজপাতায় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও মাইক্রোব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। এটি ক্ষত সারাতে দারুণভাবে কাজ করে।

সূত্র: ওয়েব এমডি

জেএমএস/জিকেএস