হবিগঞ্জের বাহুবলে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি একজন ইউপি মেম্বার প্রার্থী। তিনি ওই উপজেলার পুটিজুরি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আজিজুর রহমান। একই অভিযোগ করেছেন আরও কয়েকজন ভোটার। এ ঘটনায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
Advertisement
তবে নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মিললে ভোটাররা এ সুযোগ পাবেন না।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পুটিজুড়ি ইউনিয়নের ডুবাঐ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘলাইন ছিল সকাল থেকেই। তবে মানা হচ্ছিল না স্বাস্থ্যবিধি। কারও মুখে মাস্ক ছিল না। ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে যান মেম্বার প্রার্থী আজিজুর রহমান। কিন্তু তার আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি। একই কারণে ভোট দিতে পারেননি বেশ কয়েকজন ভোটারও। এ নিয়ে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
ভোট দিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী আজিজুর রহমান বলেন, তার জাতীয় পরিচয়পত্র রয়েছে। ছবিও মিলেছে। কিন্তু আঙুলের ছাপ না মেলায় তিনি ভোট দিতে পারেননি।
Advertisement
একই কেন্দ্রের ভোটার গোলগাঁও গ্রামের মোহাম্মদ আলী। ঢাকা থেকে ভোট দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, কাজ করার কারণে হাতে সমস্যা হয়েছে। আঙুলের ছাপ মিলছে না। এজন্য তারা বালু দিয়ে হাত ঘষিয়েছেন। সাবান দিয়ে ধুইয়েছেন। কিন্তু তারপরও আঙুলের ছাপ মিলছে না। সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র থাকার পরও আমাকে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ডুবাঐ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, বিকেলে প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। কারণ সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা তিনটি ভোট দিতে পারেন। তাদের মাধ্যমে শুধু প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রার্থীরা ভোট না দিতে পারলে তো নির্বাচনই প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাবে। তাই এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তবে কোনো ভোটারের যদি আঙুলের ছাপ না মেলে তাহলে এবার ভোট দিতে পারবেন না। পরবর্তী সময়ে তারা আঙুলের ছাপ সংশোধন করলে ভোট দিতে পারবেন।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এসআর/এএসএম
Advertisement