জান্নাত মহান রবের সেরা পুরস্কার। মুমিন বান্দার চিরস্থায়ী আবাসস্থল। মহান আল্লাহ মুমিন বান্দার জন্য মর্যাদা অনুযায়ী আট জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহর প্রিয় বান্দারা পত্র-পল্লব ছায়াঘেরা বাগানের স্নিগ্ধ পরিবেশে জান্নাতের ছায়ায় বিচরণ করবেন। কেমন হবে জান্নাতের এ ছায়া?
Advertisement
ঈমানদার বান্দার জন্য জান্নাতে যাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো- ঈমান গ্রহণ করার পর নেক আমলে জীবন পরিচালনা করা। তাদের জন্য কোরআন-সুন্নায় জান্নাতের ঘোষণা এসেছে। জান্নাতের একেকটি বৃক্ষ এত বিশাল হবে যে, একজন জান্নাতি এ বৃক্ষের ছায়ায় ১০০ বছর পথ চললেও এর সীমা অতিক্রম করা সম্ভব হবে না। হাদিসের একাধিক বর্ণনায় তা এভাবে ওঠে এসেছে-
১. হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের মাঝে এমন একটি বৃক্ষ হবে; যার ছায়ায় একজন জান্নাতি ১০০ বছর পর্যন্ত চলবে, তবুও বৃক্ষের ছায়াকে অতিক্রম করতে পারবে না।’ (বুখারি)
২. হজরত নুমান ইবনু আবু আইয়্যাশ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বর্ণনা করেছেন, বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার কাছে বর্ণনা করেন যে, ‘নিশ্চয়ই জান্নাতের মাঝে এমন একটি বৃক্ষ হবে যার ছায়ায় উৎকৃষ্ট, চটপটে ও দ্রুতগামী ঘোড়ার একজন আরোহী ১০০ বছর পর্যন্ত চলতে পারবে। কিন্তু তার ছায়া অতিক্রম করতে পারবে না।’ (বুখারি, মুসলিম)
Advertisement
৩. হজরত সাহল ইবনু সাদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতিরা জান্নাতে বালাখানাগুলো দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশে তারকাগুলো দেখতে পাও।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, এত বিশাল জান্নাতের অধিকারী হতে দুনিয়ার এ পরীক্ষাগারে ঈমানের সঙ্গে আমল-ইবাদতে নিয়োজিত থাকা। কোরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা মোতাবেক জীবন পরিচালনা করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জান্নাতের বিশাল এসব গাছের ছায়ায় বিচরণ করার তাওফিক দান করুন। ছায়াঘন বিশিষ্ট ও পত্রপল্লবে সুশোভিত জান্নাতের যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জিকেএস
Advertisement