বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী ম্যাচ জিততে মরিয়া বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা। শুক্রবার যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে এ দু’দল। এরআগে বৃহস্পতিবার দুপুরে ম্যাচপূর্ব ব্রিফিংয়ে দু’দলই জয়ের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল ইসলাম ও ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি শ্রীলংকাকে হারিয়ে পূর্ণ তিনপয়েন্ট নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার কোচ ও অধিনায়কও জয়ের জন্য মাঠে নামার কথা বলেছেন। স্থানীয় হোটেল সিটি প্লাজায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবারই যশোরে পর্দা উঠতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসর। এ টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে যশোর শামস উল হুদা স্টেডিয়াম সংস্কারসহ সাবির্ক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় আয়োজক কমিটি। উদ্বোধনী ম্যাচে অংশ নেয়ার জন্য ইতোমধ্যে যশোরে এসে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা জাতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক জানালেন, আমাদের সাফ ফুটবল ভাল হয়নি। এরপর খুব বেশি সময় পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে শুরু করতে হচ্ছে আরেকটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। কোচ আরও জানিয়েছেন, গত তিনদিন যাবৎ বাংলাদেশ দল নিয়ে তিনি কাজ করছেন। খেলোয়াড়দের মধ্যে ভাল কিছু করার প্রেরণা রয়েছে। উদ্বোধনী ম্যাচে জয় ছাড়া টুর্নামেন্টে দলের অন্য কোনো লক্ষ্য নির্ধারণের কথা তিনি ভাবছেন না।বাংলাদেশ দলের ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি জানান, দলের সবাই প্রথম ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। প্রথম ম্যাচ জিতলেই সাফের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে। অপরদিকে, শ্রীলংকা দলের কোচ সাম্পাত পেরেরা জানান, সাফ ফুটবল শেষেই এ টুর্নামেন্টের কারণে তার দলের অনেক ফুটবলার ক্লান্ত। এছাড়া দলে অনেক তরুণ খেলোয়াড় রয়েছে। জয়ের জন্য প্রত্যয় ব্যক্ত করলেও তিনি উল্লেখ করেন, স্বাগতিক হওয়ায় বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পাওয়া সহজ হবে না। লংকান দলের অধিনায়ক কাবিন্দু ইশান বলেন, তারা ভাল খেলার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছেন। স্বাগতিক দলকে হারিয়েই টুর্নামেন্টে শুভ সূচনা করতে চান তারা। সংবাদ সম্মেলনের পরই দু’দল উদ্বোধনী ম্যাচের জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) শেষ বিকেলে মাঠে ঘাম ঝরিয়েছে। যশোর পুলিশ লাইন মাঠে বাংলাদেশ দল এবং বিজিবি মাঠে অনুশীলন করেছে শ্রীলংকা দল। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের সূচি অনুযায়ী, ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার প্রথম ম্যাচ ছাড়াও ৯ জানুয়ারি মালয়েশিয়া ও নেপাল, ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ ও বাহরাইন এবং ১১ জানুয়ারি মালদ্বীপ ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার ম্যাচ যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। যশোর জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান মিঠু জানান, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর যশোর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা প্রীতি ফুটবল ম্যাচে সফল আয়োজনের কারণে এবার বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে’র জন্য এই স্টেডিয়ামকে ভেন্যু নির্ধারণ করেছে বাফুফে। সকলের সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে যশোর শামস-উল হুদা স্টেডিয়াম ম্যাচ আয়োজনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য স্টেডিয়ামের মাঠ ও গ্যালারি সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন বাফুফে কর্মকর্তারা। এদিকে, টুর্নামেন্ট আয়োজনের দিনক্ষণ যত ঘনিয়ে এসেঠে ততটা উৎসাহ উদ্দীপনা বাড়ছে যশোরবাসীর মধ্যে। যশোর মানুষ এমনিতেই ক্রীড়ামোদী। তারওপর ঘরের মাঝে একটা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট। স্বাভাবিকভাবেই সাজ সাজ রব পড়েছে এখানকার ক্রীড়ামোদি মানুষদের মাঝে। তারাও এমন আয়োজনে সন্তুষ্ট। আইএইচএস/এমএস
Advertisement