বরগুনা জেলা সদরের কাঠপট্টি এলাকায় খাকদোন নদীর সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি), সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলেছেন আদালত।
Advertisement
একইসঙ্গে বরগুনা জেলা শহরের কাঠপট্টি এলোকায় খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত। এছাড়া খাকদোন নদী দখল করে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ অপসারণ করার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এলজিআরডি ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জন বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে দায়ের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৩০ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
Advertisement
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জাগো নিউজকে জানান, আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এইচআরপিবির দাখিল করা আবেদন ২ সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তা হলে দুই সপ্তাহের মধ্যে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক সহ বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া ৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলার ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে খাকদোন নদীর সীমান জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল ও নির্মাণ নিয়ে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট দায়ের করে।
Advertisement
এফএইচ/কেএসআর/জিকেএস