ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের নিয়োগ করা দুই হাজার শিশু নিহত হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা নিহত হয়। জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
Advertisement
শনিবার নিরাপত্তা পরিষদের এক বার্ষিক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, হুথি বিদ্রোহীরা তাদের মতাদর্শ প্রচার করতে বিভিন্ন ক্যাম্প ও মসজিদ ব্যবহার করছেন। তাছাড়া আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে শিশুদের নিয়োগ করছেন। তবে এ স্বীকৃত সরকারকে সমর্থন দিয়েছে সৌদি জোট।
জাতিসংঘ জানায়, ২০২০ সালে হুথিদের নিয়োগ করা এক হাজার ৪০৬ জন শিশুযোদ্ধা নিহত হয়। তাছাড়া ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত ৫৬২ শিশু নিহত হয়।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা জানান, নিহত এসব শিশু যোদ্ধাদের বয়স ১০ থেকে ১৭ বছর। আমরান, ধামার, হাজ্জাহ, হোদেইদাহ, ইব্বি, সাদা ও সানায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।
Advertisement
২০১৪ সালে হুথি বিদ্রোহীরা ইয়েমেনের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারকে উৎখাত করে দেশটির উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালে ইয়েমেনি সরকারকে সহযোগিতা এবং বিদ্রোহীদের দমনের লক্ষ্যে ইয়েমেন যুদ্ধে যোগ দেয় সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। তবে তাদের এই অভিযানে ইয়েমেনের হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া ঘরবাড়ি হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের মতে, বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকট চলছে ইয়েমেনে। দেশটির ৮০ শতাংশ মানুষেরই জরুরি ত্রাণসহায়তা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে তারা।
সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে হুথি বিদ্রোহীদের ইরান অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করে আসছে রিয়াদ। ইয়েমেন যুদ্ধে জড়ানোর পর গত কয়েক বছরে তারাও বেশ কয়েকবার সীমান্ত এলাকায় হামলার শিকার হয়েছে। সম্প্রতি সৌদির বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার চেষ্টা বাড়িয়ে দিয়েছে হুথি বিদ্রোহীরা।
এমএসএম/জিকেএস
Advertisement