ইসলামের প্রথম যুগেও সাহাবায়ে কেরাম নামাজে তাশাহহুদ পড়তেন। সাহাবায়ে কেরামের পড়া তাশাহহুদ শুনার পর নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের তাশাহহুদ শিখিয়েছেন। হাদিসের বর্ণনায় উভয়ের তাশাহহুদ ওঠে এসেছে। সাহাবায়ে কেরাম ও নবিজীর বর্ণিত তাশাহহুদ হলো-
Advertisement
হজরত শাকিক ইবনু সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমরা যখন নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পেছনে নামাজ আদায় করতাম; তখন আমরা বলতাম-
السَّلاَمُ عَلَى اللهِ مِنْ عِبَادِهِ السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ
আল্লাহর বান্দাদের সালাম দেওয়ার আগে আল্লাহর উপর সালাম, সালাম জিবরিলের উপর, সালাম মিকায়িলের উপর, সালাম অমুক অমুকের উপর।’
Advertisement
তখন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন- আল্লাহর প্রতি সালাম; তোমরা এরূপ বলো না; কারণ আল্লাহ নিজেই তো সালাম। তাই যখন তোমরা কেউ নামাজ আদায় করবে, তখন যেন সে বলে-
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : ‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস-সালাওয়াতু ওয়াত-ত্বায়্যিবাতু; আস-সালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু; আসসালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিচ-ছালিহিন।
অর্থ : ‘সব মৌখিক ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নবি! আপনার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক এবং আল্লাহর অনুগ্রহ ও বরকত বর্ষিত হোক। শান্তি আমাদের ওপর এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের ওপর বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ বা উপাস্য নাই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর বান্দা ও রাসুল।
Advertisement
এর (উপরোল্লেখিত অংশের) সঙ্গে আরও পড়বে-
اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।’
অর্থ : ‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসল।’ (বুখারি,মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে- এরপর (তাশাহহুদ পড়ার পর) যে দোয়া তার পছন্দ হয় তা সে বেছে নেবে এবং পড়বে।’ (বুখারি)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো পদ্ধতিতে নামাজের বৈঠকে তাশাহহুদ পড়া। তাশাহহুদের পর নিজের পছন্দনীয় দোয়া পড়া।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের উপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম