শীত এলেই কুল বা বরইয়ের দেখা মেলে। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল সবার কাছেই প্রিয়। বিভিন্ন জাতের কুল পাওয়া যায় বাজারে। কোনোটি ছোট আবার কোনোটি বড়।
Advertisement
মৌসুমী সব ফলেই থাকে নানা পুষ্টিগুণ। ঠিক একইভাবে কুলেরও আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারী। জানেন কি, অনিদ্রার সমস্যা থেকে শুরু করে পেটের নানা সমস্যার সমাধান করতে কুলের ভূমিকা অনেক।
কুলে থাকে পটাসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও জিঙ্কের মতো খনিজ উপাদান। এসব খনিজের সংমিশ্রণ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে।
এ ছাড়াও আয়রন হিমোগ্লোবিনের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তাল্পতা প্রতিরোধ করে। এই খনিজগুলো শরীরের রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন এ সময় কুল খেলে শরীরে কী ঘটে-
Advertisement
>> কুলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। জিহ্বা বা মুখের ঘা কমাতে ভিটামিন সি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ সর্দি-কাশি কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।
>> উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কুল বেশ উপকারী ফল। ডায়াবেটিস রোগীরা মিষ্টি খাবারের লোভ মেটাতে খেতে পারে কুল। এ ছাড়াও ডায়রিয়া ও অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির সমস্যাও মেটায় এই ফল।
>> কুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। পাশাপাশি লিভারের কার্যক্ষমতাও বাড়ায় এই ছোট ফল।
>> এই ফলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের সঙ্গে লড়াই করে ও কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করে। ফলে চামড়ায় সতেজতা বাড়ে ও রুক্ষতা দূর হয়।
Advertisement
>> ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ কুল কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় ও হজমের সমস্যার সমাধান করে ও খাবারে রুচি বাড়ায়।
দীর্ঘস্থায়ী গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যায় ভুগলে সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন কুল। এতে পেট ঠান্ডা থাকবে।
>> শুকনো কুল ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের একটি ভালো উৎস। যা হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য এ ফলটি খুবই উপকারী। এতে প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য আছে, যা জয়েন্টে ফোলাভাব কমায়।
>> প্রাচীন চীনা ঐতিহ্য অনুসারে, অনিদ্রা নিরাময়ে কেুল ব্যবহার করা হত। বীজসহ একটি কুলে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিক্যাল, পলিস্যাকারাইড, ফ্ল্যাভোনয়েড, স্যাপোনিন।
এসব উপাদান স্নায়ুকে শান্ত করে ঘুম আনতে সাহায্য করে। এটি আপনার মন ও শরীরকে শিথিল করে। ফলে অনিদ্রার রোগীরাও সহজেই ঘুমিয়ে পড়েন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া/ওয়েব এমডি
জেএমএস/এমএস