বিদ্যার দেবী সরস্বতী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা। এদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, পাড়া-মহল্লা, বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে পূজা আর্চনার মাধ্যমে বিদ্যার দেবীকে স্বরণ করেন ভক্তরা। তাদের ধারণা, বিদ্যার দেবীর আশির্বাদে পুষ্ট হয়ে তারা জ্ঞান অর্জন করেন।
Advertisement
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজা। এ পূজাকে কেন্দ্র করে রাজবাড়ী জেলা শহরের হরিজন পল্লী, হরিসভাসহ বিভিন্ন স্থানে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগর বা পালরা। এরইমধ্যে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ করেছেন তারা। এখন বাকি রঙের কাজ।
এদিকে বিদ্যার দেবীর প্রতিমা তৈরি হলেও করোনার প্রাদুর্ভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ ও জনসমাগম এড়াতে নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ফলে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। তবে সকল নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আর্চনা করে দেবীর আশির্বাদ পেতে চান ভক্তরা।
শিক্ষার্থী অমিত সরকার ও সাগর বলেন, তাদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী। দেবীর আশির্বাদে তারা জ্ঞান অর্জন করেন। প্রতিবছর স্কুল-কলেজ, পাড়া-মহল্লা, বাসাবাড়িতে এ পূজা হয়। কিন্তু এবছর করোনার কারণে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় হয়তো পূজা করতে পারবেন না। তারপরও তারা চান প্রতিবছরের মতো এবার পূজা হোক। এ পূজার মাধ্যমে তাদের জ্ঞান অর্জন করবে।
Advertisement
গোকুল কুমার ও নরেশ চন্দ্র হেলাল বলেন, পালরা অনেক আশা নিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিমা তৈরি করেছেন। করোনার কারণে সব বন্ধ থাকায় সেই প্রতিমাগুলো বিক্রি হচ্ছে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানে পূজা হচ্ছে না। যে কারণে সরস্বতী প্রতিমা বিক্রি কমে গেছে।
প্রতিমা তৈরির কারিগর বাবলু বিশ্বাস জানান, প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন। এই কাজ করেই সংসার চালান। সরস্বতী পূজা উপলক্ষে প্রতিবছর প্রায় শতাধিক প্রতিমা তৈরি করতেন। যা দ্রুত বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু এ বছর মাত্র ৮২টি তৈরি করেও বিক্রি করতে পারছেন না। শনিবার পর্যন্ত বিক্রি করেছেন ৩২টি। অনেকে অর্ডার দিয়েও না করে দিয়েছে। প্রায় দুই মাস ধরে তারা ৩ জন কারিগর এই ৮২টি প্রতিমা তৈরি করেছেন। এখন প্রতিমাগুলো বিক্রি না হলে লোকসানে পড়বেন।
রুবেলুর রহমান/এফএ/এএসএম
Advertisement