শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে করোনার মতো শক্তিশালী ভাইরাস সহজেই আপনাকে কাবু করতে পারে। আসলে সবার শরীরের নিজস্ব একটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আছে। একেই বলা হয় ইমিউনিটি।
Advertisement
বাইরে থেকে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকসহ ক্ষতিকর পদার্থ যেন শরীরের প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখে ইমিউনিটি নামক সৈন্যরা। তারা বাইরে থেকে কোনো শত্রু (জীবাণু) শরীর প্রবেশ করতে চাইলেই যুদ্ধে নামে।
এই সৈন্যদল যুদ্ধে জিতলে আপনার রোগ হবে না। আর যুদ্ধে পরাজিত হলে যে কোনো রোগে সহজেই আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। এ কারণে শরীরে ইমিউটিনিটি স্বাভাবিক থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন।
জানেন কি, অজান্তেই আমাদের শরীরে সারাদিন হাজারও জীবাণু প্রবেশ করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সেই জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে বলেই রোগ হয় না।
Advertisement
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে ইমিউনিটির ক্ষমতা বেশি থাকলে অনেক উপকার হয়। এক্ষেত্রে মাঝেমাঝেই রোগাক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে। তবে যাদের ইমিউনিটি দূর্বল তাদের পড়তে হয় বিপাকে।
তবে সবার শরীরের অবস্থা তো আর এক নয়। এক্ষেত্রে শরীরে ইমিউনিটি স্বাভাবিক আছে নাকি কমেছে, এ বিষয়টিই বুঝতে পারেন না অনেকেই।
সেক্ষেত্রে মাত্র ৫ লক্ষণেই কিন্তু জানতে পারবেন শরীরের ইমিউনিটি কমেছে কি না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
>> বছরে ২-৩বার সর্দি-কাশিতে ভোগা স্বাভাবিক। মৌসুমী ফ্লুতে বছরের যে কোনো সময়ই আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তবে এক মাস কিংবা দুই মাস অন্তর এ সমস্যা লেগে থাকলে সতর্ক হতে হবে।
Advertisement
বুঝতে হবে, আপনার ইমিউনিটি ঠিকমতো কাজ করছে। এ কারণেই বারবার সর্দি-কাশি হচ্ছে। তাই সতর্ক থাকতে হবে ও ইমিউনিটি বাড়াতে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।
>> পেটের সমস্যায় ভোগাও ভালো লক্ষণ নয়। বারবার পেটের রোগ হতে ইমিউনিটি কমে যাওয়ার উপসর্গ। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, শরীরে যথেষ্ট ইমিউনিটি থাকলে অন্ত্রে বাড়ে ভালো ব্যাকটেরিয়া। তবে বারবার পেট খারাপ হওয়ার সমস্যা দেখা দিলে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়।
>> শরীরের কোথাও কেটে গেলে যদি ঘা শুকাতে দেরি হয়, তাহলে বুঝবেন আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। কারণ ইমিউনিটি ঠিক থাকলে ঘা বা কাটা দ্রুত সেরে যায়। আর ইমিউনিটি কম থাকলে সেই ঘা সারতে অনেকটা সময় লাগে।
>> জানলে অবাক হবেন, মস্তিষ্কের সঙ্গেও আছে ইমিউনিটির সংযোগ। দুশ্চিন্তা করার সময় শরীরে কিছু খারাপ হরমোন নির্গত হয়। যা ইমিউনিটির উপর বিশেষ প্রভাব ফেলে। এ কারণে কমে যায় ইমিউনিটি।
>> কর্মব্যস্ত দিনে হঠাৎ করেই শরীর ক্লান্ত লাগা স্বাভাবিক। তবে প্রতিদিন ক্লান্তিতে ভোগা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ এটিও হতে পারে ইমিউনিটি কমে গেলে। ক্লান্তি কিন্তু শারীরিক যে কোনো সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
তাই সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, ইমিউনিটি অত্যধিক কমে যাওয়া এই মহামারির সময় মৃত্যুঝুঁকির কারণ হতে পারে।
সূত্র: মেডিকেল নিউজ টুডে/ওয়েব এমডি
জেএমএস/এমএস