দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে মিনিস্টার ঢাকা অলআউট হয়েছিল মাত্র ১০০ রানে। যা ৩ ওভার হাতে রেখে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়েই তাড়া করে ফেলেছিল সিলেট সানরাইজার্স। আজ ফিরতি পর্বের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ঢাকার মতো অল্পেই গুটিয়ে যায়নি সিলেট। বরং লেন্ডল সিমন্সের সেঞ্চুরিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে তারা।
Advertisement
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিতে সিলেটের ক্যারিবীয় ওপেনার সিমন্স করেছেন ১১৬ রান। তার একার নৈপুণ্যেই মূলত ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পেরেছে সিলেট। তাদেরকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিতে ঢাকার সামনে এখন লক্ষ্য ১৭৬ রান।
আসরের আগের নয় ম্যাচের ধারাবাহিকতায় এ ম্যাচেও টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রতিপক্ষের আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে সিলেট। প্রথম পাওয়ার প্লে'তে ১ উইকেট হারিয়ে ৫০ রান করে ফেলে তারা। পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে ১৬ বলে ১৮ রান করে ফেরেন এনামুল হক বিজয়।
এরপর হতাশ করেন মোহাম্মদ মিঠুন (৬) ও কলিন ইনগ্রাম (০)। মাশরাফি বিন মর্তুজার বলে ফিরতি ক্যাচ দেন ইনগ্রাম, কাইস আহমেদের বলে বোল্ড হন মিঠুন। দ্রুতই তিন উইকেট পতনের পর ইনিংসের হাল ধরেন সিমন্স। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন রবি বোপারা। এ দুজনের জুটিতে আসে ৭ ওভারে ৬৩ রান। যেখানে বোপারার অবদান মাত্র ১৩ রান।
Advertisement
ইনিংসের ১৮তম ওভারে এবাদত হোসেনের বলে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান সিমন্স। তিন অঙ্কে পৌঁছতে ৫৯ বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ১২টি চার ও ৪টি ছয়ের মার। নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করার পর আরও দুইটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি।
আন্দ্রে রাসেলের করা সেই ওভারের চতুর্থ বলে আরও একটি ছক্কার চেষ্টায় লং অনে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়ে যান সিমন্স। ইনিংস সূচনা করতে নেমে তার ব্যাট থেকে আসে ৬৫ বলে ১৪ চার ও ৫ ছক্কার মারে ৬৫ বলে ১১৬ রানের ইনিংস। বিপিএল ইতিহাসে এটি ২২তম ব্যক্তিগত সেঞ্চুরি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক ইনিংসে এর চেয়ে বেশি রানের রেকর্ড রয়েছে আর মাত্র চারটি।
শেষ দিকে দলের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৮ বলে ১৩ রান করে দলকে ১৭৫ রানে পৌঁছে দেন। ঢাকার পক্ষে ১টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি, এবাদত, রাসেল ও কায়েস।
এসএএস/আইএইচএস/
Advertisement