দেশজুড়ে

সাতক্ষীরা আদালত ভবনের নির্মাণ কাজ শেষই হচ্ছে না

নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও নির্মাণ কাজ শেষ হলো না সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন আরও দেড় বছর বাড়িয়েছে প্রকল্পটির মেয়াদ। দ্বিতীয় দফা সময়ের মধ্যে সাত মাস চলে গেছে। বাকি সময়ের মধ্যে ভবন হস্তান্তর করা যাবে কি না তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। অন্যদিকে, এজলাস সঙ্কটে ব্যাহত হচ্ছে সাতক্ষীরার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার কাজ। একই এজলাসে একজন বিচারক যখন বিচার কাজ পরিচালনা করেন তখন অপর বিচারক অপেক্ষায় থাকেন কখন এজলাস শেষ হবে। তখন তিনি নতুন করে আবার শুরু করবেন।জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবুল হোসেন জাগো নিউজকে জানান, সাতক্ষীরার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতগুলোতে যে পরিমাণ মামলা রয়েছে তাতে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ খুবই জরুরি। বর্তমানে যেসব এজলাসে বিচারকগণ বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন তা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত পরিসরে।তিনি আরও বলেন, এজলাসের অভাব এতই প্রকট যে বিচারকগণকে অপেক্ষা করতে হয় কখন কোন এজলাসে বিচার শেষ হবে তারপর আরেকজন বিচারক সেই এজলাসে বসবেন। সাতক্ষীরা গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহাকারী প্রকৌশলী মো.মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশের ৬৪টি জেলা সদরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণ (প্রথম পর্যায় সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১২ সালে সাতক্ষীরার নির্মাণ কাজের টেন্ডার হয়। টেন্ডার অনুযায়ী যৌথভাবে প্রকল্পের কাজ পান ঢাকা এবং যশোরের দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।সাতক্ষীরাতে ১২তলা বিশিষ্ট চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা থাকলেও প্রথম পর্যায়ে সংশোধিত আকারে ২৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ তলা বিশিষ্ট আদালত ভবন নির্মাণ কাজ হাতে নেয়া হয়। প্রকল্পের কার্যাদেশ অনুযায়ী গত ৩১ মে ২০১৫ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দুটো তা সম্পন্ন করতে পারেনি। প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ দ্বিতীয় দফায় শেষ করার জন্য বলা হয়েছে।এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফ্রান্সিস আশীষ ডি. কস্তা জাগো নিউজকে বলেন, যেহেতু এটি অনেক বড় প্রকল্প। কিন্ত সংশোধিত করার কারনে কালক্ষেপন হয়। ফলে প্রথম পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শেষ করতে পারেনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে। তবে পরবর্তীতে যে সময় তাদের দেয়া হয়েছে আশা করছি তার আগেই ভবন হস্তান্তর করা যাবে। তাছাড়া আপাতত দুটি এজলাস কক্ষ হস্তান্তর করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানদ্বয়কে তাগিত দেয়া হচ্ছে।এমজেড

Advertisement