বিজেপি সরকার দিল্লীর মসনদে বসার পর থেকেই দেশটিতে সংখ্যালঘুরা নানা রকম বৈষম্য-বৈরীতার শিকার হচ্ছেন। সেটা যে কতোটা প্রখর তা অনুমান করা যায় কট্টরপন্থি নানা হিন্দু সংগঠন থেকে বলিউডে মুসলিম বা ভিন্ন ধর্মের শিল্পীদের হেনস্থা হবার চিত্রে। যার ফলে সমালোচনার মুখে পড়েছে মোদি সরকার।সম্প্রতি ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে কথা বলায় ভারতের বেশ কিছু প্রদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে শাহরুখ খানের ‘দিলওয়ালে’ ছবির প্রদর্শনী। তবে এ নিয়ে চরম বারাবারির শিকার হয়েছেন বি-টাউনের মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত আমির খান।তিনি ভারতকে অসহিষ্ণু বলায় তাকে চড় দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা উপহারের ঘোষণাও দেয়া হয়েছে শিবসেনা থেকে। চলছে তার বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার ও কাঁদা ছিটানো। সর্বশেষ যুক্ত হলো ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞাপন ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ থেকে এই অভিনেতাকে বাদ দেয়ার ঘটনা। বুধবার সন্ধ্যায় আমির খানের সাথে পর্যটন বিভাগের প্রচারণার সবরকম চুক্তি বাতিলের ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মহেশ শর্মা।‘অতিথি দেবোভবঃ’- এই মন্ত্রেই পর্যটন মন্ত্রকের ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের বিজ্ঞাপনে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার হয়েছিলেন আমির খান। শোনা গিয়েছিল, অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলার জেরে, এই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। সেটি সন্ধ্যা হতেই নিশ্চিত করলেন পর্যটন মন্ত্রী।পর্যটনমন্ত্রী জানিয়েছেন, আমির খানের সঙ্গে ওই বিজ্ঞাপন এজেন্সির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে বর্তমানে আর ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের ম্যাসকট নন আমির। এখানে অন্য কোনো কারণ খোঁজার অবকাশ নেই।তবে মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে ভারতে। বলিউডে আমিরের সহকর্মীসহ তার কোটি কোটি ভক্তরা বিষয়টিকে সরকারের ব্যক্তিগত আক্রোশ হিসেবেই দেখছেন। তারা অসাম্প্রদায়িক মানসিকতার এই বিশ্বে সাম্প্রদায়িক স্বভাবের বিজেপির কঠোর সমালোচনা করেছেন। সেইসঙ্গে আমিরের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্বকে যথার্থ সম্মান দেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।এলএ
Advertisement