অবরোধ প্রত্যাহারের পর এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সব ভবনের তালা খুলে দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এতে দীর্ঘ ১১ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন ও হল অফিস খুলে দেওয়া হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাশার রাজ জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অহিংস আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা৷ আন্দোলনের অংশ হিসেবে নাটক, গান, কবিতা, আবৃত্তি, র্যালিসহ বেশকিছু কর্মসূচি হাতে নেবেন শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও উপাচার্যের বাসভবনে প্রবেশের মূল ফটক খুলে দেওয়া হয়।
গত ১৭ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব একাডেমিক ও প্রশাসিনক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে।
এরপর ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
Advertisement
এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের হামলার ঘটনায় উপাচার্যকে দায়ী করে তার পদত্যাগ দাবি করে এতদিন আমরাণ অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা।
মোয়াজ্জেম আফরান/এফএ/এএসএম