টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জাতীয় দলের চরম ব্যর্থতার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড়। নানা তীর্যক কথা-বার্তা। ক্রিকেটার, কোচ, নির্বাচক এবং বোর্ড কর্মকর্তা- কেউ বাদ যাননি। সমালোচনার তীর সবার গায়েই এসে লেগেছে।
Advertisement
তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল অবেদিন নান্নুর ওপর দিয়েই ঝড় বয়ে গেছে বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নান্নুকে প্রধান নির্বাচক থেকে সরিয়ে অন্য কাউকে, বিশেষ করে হাবিবুল বাশারকে দায়িত্ব দেয়ার চিন্তা ভাবনাও এসেছিল। মাঝে বিসিবি ও ক্রিকেট পাড়ায় প্রায় চাওর হয়ে গিয়েছিল যে, নান্নু প্রধান নির্বাচক থাকছেন না। তার পরিবর্তে হাবিবুল বাশারকে নির্বাচক প্যানেলের প্রধান করা হচ্ছে।
কিন্তু সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই খবরও কেমন যেন ঢাকা পড়ে গেছে। বরং এখন বোর্ডের অভ্যন্তরে একটি নতুন খবর শোনা যাচ্ছে, তাহলো ক্রিকেট অপারেশন্স, তথা বিসিবি নতুন প্রধান নির্বাচক খুঁজে পাচ্ছে না।
বোর্ডের দায়িত্বশীল একটি সূত্রে জানা গেছে, ‘শ্রেয়তর বিকল্পর খোঁজেই বর্তমান প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর পরিবর্তে গাজী আশরাফ হোসেন লিপু এবং ফারুক আহমেদের কথা ভেবেছিল বিসিবি; কিন্তু যে কোনো কারণেই হোক তারা কেউই প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন না। লিপু রাজি হননি। ফারুকও সেভাবে সময় দিতে পারবেন না।’
Advertisement
মাঝে নান্নুকে সরিয়ে হাবিবুল বাশারকে নির্বাচক কমিটির প্রধান করার চিন্তা ছিল। আর হান্নান সরকারকে তৃতীয় নির্বাচক হিসেবে নেয়ার কথাও শোনা যাচ্ছিল। জানা গিয়েছিল, সেটাই হতে যাচ্ছে। কিন্তু তা নিয়েও এখন খানিক ধোঁয়াশে অবস্থা। নান্নুর জায়গায় হাবিবুল বাশারকে দায়িত্ব দিলেও নতুনের কেতন ওড়ে না। সেই পুরোন আদলই থেকে যায়।
কাজেই হাবিবুল বাশারের বদলে আর কাউকে দেয়া যায় কি না, তা খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। বোর্ড এর ইচ্ছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং ব্যক্তিত্বসম্পন্ন কাউকে প্রধান নির্বাচক করতে।
কিন্তু ওই কাতারে যারা আছেন- তাদের মধ্যে আকরাম খান, খালেদ মাহমুদ সুজন আর নাাঈমুর রহমান দুর্জয়ের মত জাতীয় দলের তিন সাবেক অধিনায় বোর্ড পরিচালক। তাদেরকে তো আর মাসোহারা দিয়ে প্রধান নির্বাচক করা যায় না। জাতীয় দলের অপর সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা এখনো খেলছেন। তাই তাকে বিবেচনায় আনা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে মোহাম্মদ আশরাফুলেরও রয়েছে ইমেজ সংকট। সব মিলিয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কদের মধ্য থেকে কাউকে খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন হয়ে গেছে। তেমন কাউকে খুঁজে পাওয়াও যাচ্ছে না।
Advertisement
তাই ভেতরের খবর হলো, শ্রেয়তর বিকল্প না পাওয়ায় নান্নু এ যাত্রায় টিকেও যেতে পারেন। সত্যিই যদি শেষ পর্যন্ত নান্নু প্রধান নির্বাচক পদে থেকেই যান, তাহলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।
এআরবি/আইএইচএস