অর্থনীতি

কানাডায় বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করবে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি

অর্থনীতির বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। অবকাঠামো সুবিধা, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার, বিশ্বের প্রধানতম বাজারগুলোতে শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকায় এ অঞ্চলের অন্যতম সেরা বিনিয়োগ গন্তব্য এখন বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো এ সুবিধা সম্পর্কে কানাডার বিনিয়োগকারীরা অবগত নন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য জোরদার করতে কানাডায় বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করবে দুদেশের যৌথ ওয়ার্কিং কমিটি।

Advertisement

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত কমিটির অনলাইন বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা করেন দুই দেশের সরকারের মনোনীত সদস্যরা। সভায় কো-চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন ও কনজ্যুমার হেলথের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান নুজহাত তাম-জামান।

এর আগে দুদেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের আগের বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে অগ্রাধিকারমূলক কয়েকটি খাত চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেগুলো হলো- পর্যটন, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, শিক্ষা, ওষুধশিল্প ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি।

মঙ্গলবারের বৈঠকে নতুন করে ব্লু ইকোনমি ও প্লাস্টিক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিতে বিশ্বের অন্যতম সেরা দেশ কানাডা। সমুদ্র সম্পদকে সুষ্ঠুভাবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কানাডার বিশেষ দক্ষতা ও জ্ঞান রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ৭১০ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা ও বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইলের অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। কিন্তু এর বেশিরভাগই অব্যবহৃত। কানাডার বিনিয়োগ, কারিগরি জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা পেলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরো এগিয়ে যাবে।

Advertisement

এফবিসিসিআই সভাপতি জানান, ওয়ার্কিং কমিটির কাছে শিগগিরই ব্ল ইকোনমি, প্লাস্টিক ও পর্যটনের ওপরে খাতভিত্তিক প্রতিবেদন জমা দেবে এফবিসিসিআই। এছাড়াও দক্ষতা উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক সৈয়দ আলমাস কবির।

নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানি-রপ্তানি ও বাণিজ্য বাধা দূর করতে পণ্যভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ জোরদার করার ব্যাপারে একমত হয় দুইপক্ষ।

বৈঠকে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে কানাডার রুলস অব অরিজিন আরো সহজ করার ব্যাপারে কথা বলেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহজ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসার দাবি করা হয় কানাডার পক্ষ থেকে।

বৈঠকে কানাডায় বাংলাদেশি চামড়া, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা রপ্তানির সম্ভবানার ওপর গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এফবিসিসিআই পরিচালক ও এমসিসিআই সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ওপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাস্কাচেওয়ান ট্রেড অ্যান্ড এক্সপোর্ট পার্টনারশিপের (স্টেপ) সভাপতি ক্রিস ডেকার। কমিটির পরবর্তী বৈঠক আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

Advertisement

ইএআর/কেএসআর/জিকেএস