জাতীয়

স্বীকৃতি না থাকায় দুর্যোগকালে ক্ষতির মুখে গৃহভিত্তিক শ্রমিকরা

করোনাকালীন সময়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়েছেন গৃহভিত্তিক শ্রমিকরা। সরকারি স্বীকৃতি না থাকায় শ্রমখাতে দেওয়া বিভিন্ন সহযোগিতাও পাননি তারা। ফলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে এ খাতের অনেককেই।

Advertisement

বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে লেবার অ্যাট ইনফরমাল ইকোনমি (এলআইই) আয়োজিত দক্ষিণ এশিয়ায় গৃহভিত্তিক শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকার ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব ও নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। করোনার সময়ে কর্মহীন হওয়া ৬০ জন গৃহভিত্তিক নারী শ্রমিকের ওপর গবেষণা করে সংস্থাটি।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহভিত্তিক শ্রমিকরা দর্জিগিরি, সেলাই, বোতাম লাগানো এবং এমব্রয়ডারি কাজে দক্ষ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শ্রমিক গার্মেন্টস সাপ্লাই চেইনের সঙ্গে যুক্ত।

এই কোভিড মহামারি শহুরে গৃহভিত্তিক শ্রমিকদের প্রকট সমস্যা ও দারিদ্রকে উন্মোচিত করেছে। যারা করোনার সময় কর্মসংস্থান হারিয়েছিলেন, তা ধীরগতিতে পুনরুদ্ধার হচ্ছে এবং গৃহভিত্তিক শ্রমিকদের আয় এখনো অতিমারির পূর্বের তুলনায় মাত্র ৪১ শতাংশ। তাদের যা আয় তা দৈনন্দিন প্রয়োজন ও ব্যয় পূরণের জন্য অপর্যাপ্ত এবং এর ফলে অপরিশোধিত ঋণ বেড়েই যাচ্ছে।

Advertisement

গবেষণায় বলা হয়, এই মুহূর্তে এসব শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে আরও দারিদ্র্যের মধ্যে নিপতিত হওয়া থেকে সুরক্ষা করার জন্য শুধু জরুরি ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা ছাড়াও দেশের অর্থনীতিতে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

এলআইই সেক্রেটারি চায়না রহমান বলেন, করোনার সময়ে অনেক গৃহভিত্তিক শ্রমিক কাজ হারিয়ে রাস্তায় চা বিক্রি করেছেন। অনেকে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। সারাবছর এই মানুষগুলো ঘর থেকে মানুষের চাহিদা পূরণ করেছেন। কিন্তু করোনার সময়ে তারা কাজ হারিয়েছেন। তাদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি।

ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রিজওয়ানার সভাপতিত্বে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি সমন্বয়ক আসাদ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন ওশি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রিপন চৌধুরী।

অনলাইনে যুক্ত হয়ে গবেষণা প্রতিবেদনের ওপর প্যানেল আলোচনা করেন তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাংশু মিত্র, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ)-এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সানইয়াৎ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইসমাঈল হোসাইন।

Advertisement

এমআইএস/এমআরআর/এমএস