গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের জন্য রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা ২০২১ পেয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) সোনালী সেন।
Advertisement
রাজারবাগে আয়োজিত ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে এডিসি সোনালী সেনকে পিপিএম-সেবা পদক তুলে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এই পদকের জন্য পুলিশ সদস্য বা কর্মকর্তারা এককালীন ৫০ হাজার টাকা এবং প্রতি মাসে এক হাজার টাকা পেয়ে থাকেন।
সোনালী সেন ২০১২ সালের ৩ জুন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পদে যোগদান করেন। তিনি কেএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) হিসেবে কর্মরত থেকে নিচের মামলাগুলোর রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে ভূমিকা পালন করেন।
Advertisement
ব্যবসায়ীকে গুলি করে ছিনতাই মামলার রহস্য
২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর। বাদী তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলনার সোনাডাঙ্গা হোসেন অ্যান্ড ব্রাদার্স থেকে এক লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা নিয়ে রাত ১০টায় দোকান বন্ধ করে যাচ্ছিলেন। পথে হোটেল এশিয়ার সামনে পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা তিন-চারজন মোটরসাইকেলযোগে এসে বাদীর মোটরসাইকেল থামিয়ে সেই টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় মামলা হলে সোনালী সেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ ৯৭ হাজার ২০০ টাকা ও এক রাউন্ড গুলির খোসা জব্দ করেন। তিনি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি লাল মৃধা (৩০), মো. সাব্বির শেখ (২৮) ও তহিদুর রহমান তুফানকে (৩০) গ্রেফতার করেন।
ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন
২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর সকাল ৭টায় বাদীকে জনৈক ব্যক্তি ফোন করে বলেন, ভিকটিমকে মোহাম্মদনগর এম আর এন্টারপ্রাইজ অটো চার্জিং পয়েন্টে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাদী ও উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে। এ বিষয়ে লবণচরা থানার হত্যা মামলা হলে এডিসি সোনালী সেনের প্রত্যক্ষ দিকনির্দেশনা ও সহায়তায় তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযান পরিচালনা করে ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি মো. আরাফাত হোসেনকে (১৯) মোহাম্মদনগর এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।
Advertisement
হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতার
২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাশ্মীরি জুস কর্নারের সামনে ভিকটিমকে এজাহারনামীয় আসামিরা ধারালো ছুরি দিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। এরপর ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে হরিণটানা থানায় হত্যা মামলা হলে পুলিশ কর্মকর্তা সোনালী সেন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামি সাকিব আল হাসানকে (১৭) গ্রেফতার করেন। পরবর্তীতে আসামি আদালতে ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
টিটি/জেডএইচ/জেআইএম