দেশে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় করোনাভাইরাসে ১০ হাজার ৭৫ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। এর মধ্যে মৃত্যু হচ্ছে ১৬৬ জনের। এছাড়া প্রতি ১০ লাখে সুস্থ হচ্ছেন ৯ হাজার ১৫৩ জন রোগী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ও কোভিড ইউনিটের প্রধান ডা. মো. জাকির হোসেন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২১ সালের ১ জুলাই বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৭ কোটি তিন লাখ ১৭ হাজার ৭৭ জন। সেই হিসাবে প্রতি ১০ লাখে ১০ হাজার ৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত, ৯ হাজার ১৫৩ জন সুস্থ হয়েছেন এবং ১৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১৬ হাজার ৩৩ জন। দৈনিক শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত বছরের ২৮ জুলাই একদিনে শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার ২৩০ জন। যা মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। সেদিক থেকে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা দৈনিক হিসাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
Advertisement
২৪ ঘণ্টার মৃত্যু ও শনাক্ত নিয়ে বর্তমানে দেশে মোট মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ২৮ হাজার ২৫৬ জন এবং শনাক্ত বেড়ে দাঁড়ালো ১৭ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৭ জনে।
২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫৫টি আরটি-পিসিআর, ৫৭টি জিন-এক্সপার্ট এবং ৬৪৮টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ল্যাবসহ মোট ৮৬০টি ল্যাবে ৪৯ হাজার ৬৯৭টি নমুনা সংগ্রহের বিপরীতে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪৯ হাজার ৪৯২টি। মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার ১৭৯টি।
একদিনে মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ৬ জন নারী। এখন পর্যন্ত মোট মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১৮ হাজার ৬২ জন ও নারী ১০ হাজার ১৯৪ জন।
২৪ ঘন্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন ও চট্টগ্রামে বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে একজন করে মারা গেছেন। মারা যাওয়া ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন ষাটোর্ধ্ব বয়সী, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ২ জনের বয়স ২০ বছরের নিচে।
Advertisement
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ হাজার ৯৫ জন রোগী। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৪ জনে। সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এমইউ/ইএ/এমএস