একাকি নামাজ পড়া থেকে জামাতে নামাজ পড়ার ফজিলত ও গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু অনেকেই শুরু থেকে জামাতে উপস্থিত হতে পারে না। যারা শুরু থেকে জামাতে নামাজ পড়ে আর যারা শুরু থেকে জামাতে অংশগ্রহণ করতে পারে না; ইসলামে পরিভাষায় তাদের কী বলা হয়? এ সম্পর্কে ইসলামের দিকনির্দেশনা কী?
Advertisement
জামাতে সম্পৃক্ত হয়ে নামাজ পড়া মুক্তাদি বা নামাজিদের তিন ধরনের পরিচয় পাওয়া যায়। ইসলামের পরিভাষায় তারা হলো- মুদরিক, লাহিক এবং মাসবুক। এগুলোর পরিচয় হলো-মুদরিকমুদরিক নামাজির মর্যাদা সবচেয়ে বেশি। কেননা তারা জামাতের শুরু থেকে অর্থাৎ তাকবিরে উলা তথা প্রথম তাকবির থেকে ইমামের সঙ্গে নামাজে অংশগ্রহণ করেছেন। ইসলামের পরিভাষায় তাদেরকে মুদরিক বলা হয়।
লাহিকতবে অনেকে ইমামের সঙ্গে শুরু থেকে নামাজ শুরু করলেও নামাজে থাকা অবস্থায় অজু ছুটে যায়; এসব নামাজিকে বলা লাহিক।
লাহিক নামাজির করণীয়লাহিক নামাজি কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে সরাসরি কাতার ভেদ করে অজু করতে চলে যাবে। অজু করে ফিরে এসে ইমামের সঙ্গে নামাজে যোগদান করবে। ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে উঠে দাঁড়িয়ে ছুটে যাওয়া রাকাত আদায় করবে।আর যদি অজু করে ফিরে আসতে আসতে জামাত শেষ হয়ে যায়, তবে সে একাকি অবশিষ্ট নামাজ আদায় করবে। তাতে সে পূর্ণ জামাতের সাওয়াব পেয়ে যাবে।তবে শর্ত হচ্ছে- এই অজু করতে যাওয়া-আসাসহ কোথাও কারো সঙ্গে কোনো প্রকার কথা বলা যাবে না। তবেই লাহিক নামাজি পূর্ণ জামাতের সওয়াব পেয়ে যাবেন।
Advertisement
মাসবুকযে নামাজি ইমামের সঙ্গে তাকবিরে উলা তথা প্রথম তাকবিরের সঙ্গে জামাতের শুরু থেকে অংশগ্রহণ করতে পারেনি তারা মাসবুক নামাজি। অর্থাৎ কারো এক রাকাত ছুটে গেছে; কিংবা কেউ রুকুতে এসে জামাতে শরিক হয়েছে কিংবা কেউ বৈঠকে এসে জামাতে শরিক হয়েছে।মাসবুক নামাজি যদি প্রথম রাকাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে এবং রাকাত ছুটে যায় তবে ইমামের সালাম ফেরানোর পর সে তার ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কেরাতসহ আদায় করবে এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও দিতে হবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মুদরিক নামাজি হওয়ার পাশাপাশি লাহিক ও মাসবুক নামাজ যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement