দিনাজপুরে ইসকন মন্দিরে হামলার ঘটনায় একজন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে আটটায় ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা হামলা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সারোয়ার হোসেন সাবু (৩৩) এবং মো. আব্দুর রহমান বাদশা (২০) নামের দুই যুবককে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে মো. আব্দুর রহমান বাদশা ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা হামলায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আটক সারোয়ার হোসেন জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ভাইগড় সাগরপুর গ্রামের বুধা মণ্ডলের ছেলে এবং মো. আব্দুর রহমান কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বলেয়া গ্রামের মো. নুরুল ইসলামের ছেলে।বুধবার সন্ধ্যার পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হাসানের আদালতে মো. আব্দুর রহমান বাদশা ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা হামলায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বজলুর রশিদ জাগো নিউজকে জানান, রোববার গভীর রাতে জেলার বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ভাইগড় সাগরপুর গ্রামের সাবু এবং কাহারোল উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বলেয়া গ্রামের বাদশাকে আটক করা হয়। আটকরে পর আদালতের নির্দেশে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ড শেষে বুধবার বিকেলে মো. আব্দুর রহমান বাদশা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। যাতে তিনি ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা হামলায় চালানোর ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালত তাদের দুইজনকে ইতালির নাগরিক ডা. পিয়েরো পারলারিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।দিনাজপুর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেদওয়ান রহিম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। তথ্য যাচাই-বাছাই পূর্বক পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।প্রসঙ্গত, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ডাবোর ইউনিয়নের জয়নন্দ ডহচি গ্রাম ইসকন মন্দিরে ধর্ম সভা চলাকালীন সময়ে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে গুলি ও বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দু`জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ইসকন মন্দিরে গুলি-বোমা হামলা চালিয়ে পালিয়ে যাবার সময় জনতা শরিফুল ইসলামকে আটক করেন। পরের দিন অস্ত্র ও গুলিসহ মোছাদ্দের আলম খন্দকারকে আটক করা হয়।এমদাদুল হক মিলন/এমজেড/পিআর
Advertisement