অনলাইন শপিং দিনদিন হয়ে উঠছে ভরসার জায়গা। কর্মব্যস্ততায় মার্কেটে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার দিন শেষ। তাই তো যখন যেটা প্রয়োজন হচ্ছে একটি ক্লিকের মাধ্যমেই তা অর্ডার করে দিচ্ছেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। শিশুরাও পিছিয়ে নেই। এবার ২২ মাসের এক ক্ষুদে বাবা-মায়ের দেখাদেখি অনলাইনে ফার্নিচার অর্ডার করলো। তার দাম ছাড়িয়েছে দেড় লাখ টাকা।
Advertisement
সম্প্রতি নিউ জার্সির বাসিন্দা প্রমোদ এবং মধু কুমারের বাড়িতে হঠাৎই ডেলিভারি হতে থাকে একের পর এক আসবাবপত্র। ফুলদানি, আরামকেদারা সহ একাধিক আসবাব চলে আসে বাড়িতে। শুরুতে অবাক হয়ে যান এই দম্পতি। অর্ডার না করা সত্ত্বেও কী ভাবে ওয়ালমার্ট থেকে আসবাবপত্র তাদের বাড়িতে ডেলিভারি হচ্ছে? কে সেগুলি অর্ডার করল?
হঠাৎই তাদের সন্দেহ যায় অংশের দিকে। তাদের ২২ মাস বয়সী ছেলে অংশ। বাবা-মায়ের জেরার মুখে কিছুই বলছিল না। কারণ কথাই তো ঠিকমতো এখনো বলতে পারেনা ক্ষুদে অংশ। তবে তার ড্যাপ ড্যাপ করে চেয়ে থাকায় বুঝে যান তারা। এ কাজ অংশেরই।
মায়ের ফোন নিয়ে ওয়ালমার্ট থেকে একের পর এক ফার্নিচার অর্ডার করে গিয়েছে দুষ্টু এই একরত্তি। অংশের বাবা মা ভারতের নাগরিক হলেও অনেক বছর থেকে নিউ জার্সিতে বসবাস করছেন। সেখানেই জন্ম অংশের। তবে ব্যস্ততার কারণে বাবা-মা কেউ ই অংশকে সময় দিতে পারেন না। মোবাইল দিয়ে ছেলেকে ভুলিয়ে রাখেন।
Advertisement
আর এভাবেই মোবাইল চালাতে বেশ সিদ্ধহস্ত হয়ে ওঠে অংশ। ক্যালেন্ডার অ্যাপ বন্ধ করে দেওয়া, শেষ পাঠানো নম্বরে ই-মেইল করে দেওয়া কিংবা ফোনবুক ঘেঁটে নম্বর বের করে ফেলা অংশের কাছে এখন নস্যি। বাবা-মাকে অনলাইনে শপিং করতে দেখেছে বহুবার। আর ফোন ঘাটতে ঘাটতে কোনো এক ফাঁকে মায়ের ফোন থেকে ফার্নিচার অর্ডার করে ফেলেছে সে।
এতটুকু ছেলেকে মোবাইল ফোনের ব্যবহার করতে দেওয়ার খেসারত ভালোভাবেই দিয়েছেন এই দম্পতি। এবার থেকে মোবাইলে পাসওয়ার্ড লক কিংবা ফেস রিকগনিশন সিস্টেম চালু করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
কেএসকে/এএসএম
Advertisement