করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এ নিয়ে বিশ্ববাসীর মনেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বাংলাদেমসহ ভারতেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে এখনো তেমন কিছু জানা যায়নি।
Advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, ঠিকমতো জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্ট হলে দেখা যেত বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে করোনা আবার নিজেকে সামান্য বদলে ফেলেছে।
এবার ওমিক্রন নিজেকে সামান্য বদলে বিএ২ উপ-ধরন তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৫০০ জনেরও অধিক মানুষের শরীরে মিলেছে এই ভাইরাস।
বিএ২ ব্রিটেনে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। জিনোম সিকোয়েন্সিং টেস্টের মাধ্যমে ব্রিটেনে ৪০০-এর অধিক মানুষের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস।
Advertisement
এমনকি ভারতেও ছড়াচ্ছে। তাই সতর্ক থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু ভারত বা ব্রিটেনই নয়, এরই মধ্যে ৪০টি দেশে এই উপপ্রজাতির উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে।
তবে ওমিক্রনের এই সাবভ্যারিয়েন্ট কিন্তু নতুন নয়। ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর প্রথম এই ভাইরাস পাওয়া যায়। লন্ডনেও এই সাবভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে।
কতটা ভয়ঙ্কর ওমিক্রনের বিএ২ উপ-ধরন?
এ বিষয়ে ভারতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের অন্যতম সদস্য ডা. জ্যোতির্ময় পাল বলেছেন, ভাইরাসের এই উপ-ধরন নিয়ে এতদিন আলোচনা হয়নি। এখন অনেকের শরীরেই এই সাবভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে বলে গবেষণা চলছে।
Advertisement
তবে এখনো এটি সম্পর্তে বিষদভাবে কিছু জানা যায়নি। ওমিক্রনের থেকে বেশি দাপট দেখাবে কি না কিংবা কতটা সংক্রামক এই ভাইরাস তা এখনো জানা যায়নি। তবে খুব শীঘ্রই তা জানা যাবে।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, এই সাবভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ মোটমুটি ওমিক্রনের মতোই। তবে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য এখনো জানা যায়নি।
কীভাবে সাবধান থাকবেন?
এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো যহেতু বিএ২ সাবভ্যারিয়েন্ট নিয়ে তেমন কোনো তথ্য সামনে আসেনি, তাই আলাদা করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তাই করোনাবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক সব সময় পরুন।
মাস্কই এই রোগের প্রধান হাতিয়ার। পাশাপাশি নিয়মিত ধুতে হবে হাত। ব্যবহার করুন স্যানিটাইজার। ভিড় বা জমায়েতে চলাফেরা করবেন না।
যারা এখনো করোনা টিকা নেননি তারা দ্রুত নিন। টিকা এই রোগের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা করবে।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট/ইন্ডিয়া ডট কম
জেএমএস/জিকেএস