আজ ২৫ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বাংলা সাহিত্যে সনেটের প্রবর্তক মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৮২৪ সালের এ দিনে যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মধুকবি তার বিশাল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন বাংলা সাহিত্যে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই। অসাধারণ প্রতিভাধর এ কবি তার সৃষ্টিশীলতায় বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারকে করেছেন সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর।
Advertisement
মধুসূদন দত্তের বাবা রাজনারায়ণ দত্ত কলকাতায় ওকালতি করতেন। মা জাহ্নবী দেবী সাধ্বী ও গুণশালিনী নারী ছিলেন। মধুসূদনের বাল্যকাল অতিবাহিত হয় সাগরদাঁড়িতেই। ১৩ বছর বয়সে মধুসূদন চলে যান কলকাতায়। ধর্মান্তরিত হলে মাইকেল মধুসূদনকে দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হতে হন। মাইকেলের ব্যক্তিগত জীবন ছিল নাটকীয় এবং বেদনাঘন। মাত্র ৪৯ বছর বয়সে কলকাতায় কপর্দকশূন্য করুণ অবস্থায় মৃত্যু হয় কবির। কলকাতায় তাকে সমাধিস্থ করা হয়।
কবির মৃত্যুর পর তার ভাইয়ের মেয়ে কবি মানকুমারি বসু ১৮৯০ সালে সাগরদাঁড়িতে কবির প্রথম স্মরণসভার আয়োজন করেন। সেই থেকে শুরু হয় মধু মেলার। তবে, এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মদিন ঘিরে বিস্তৃত পরিসরের কোনো আয়োজন থাকছে না।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৮তম জন্মদিন ঘিরে মধুমেলা কিংবা বিস্তৃত পরিসরের কোনো আয়োজন থাকছে না। মহাকবির জন্মবার্ষিকী শারীরিক দূরত্ব মেনে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হবে। এর মধ্যে রয়েছে মহাকবির প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাগরদাঁড়ির মধুমঞ্চে কবির জীবনীর ওপর আলোচনাসভা। এছাড়া কবিতা আবৃত্তি।প্রথমবারের মতো এ বছর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে বলেও জানান তিনি।
Advertisement
এমএএইচ/জেআইএম