শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
Advertisement
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপাচার্যের বাসভবনের মূল ফটকের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ মন্তব্য করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাব্বির মোহাইমিনুল বাশার রাজ, নাফিসা আনজুম বলেন, ‘আমরণ অনশনের ১১৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে৷ কিন্তু স্বৈরাচার উপাচার্য আমাদের দাবির বিষয়ে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করেননি। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য বাসভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি। পরিস্থিতি বিবেচনায় এই পদক্ষেপকে নাশকতা বলা যায় না।’
উপাচার্যের সঙ্গে আর কোনো সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে জাতির পিতাকে জুলফিকার আলী ভুট্টো বারবার বলেছিলেন, এই সম্পর্ক (বাংলাদেশ-পাকিস্তান) রাখা যায় কি না। জাতির পিতা স্বদেশ ফিরে বলেছিলেন, ভুট্টো সাহেব, সুখে থাকো। বাঁধন ছিঁড়ে গেছে, আর না। আজ আমরা শাবিপ্রবির সব শিক্ষার্থীদের পক্ষে দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, ভিসির সঙ্গেও আমাদের সম্পর্কের বাঁধন ছিঁড়ে গেছে।
Advertisement
গত ১৩ জানুয়ারি থেকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিও সামনে আসে আন্দোলনে।
পরে ১৬ জানুয়ারি বিকেলে তিন দফা দাবি আদায়ে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে অবরুদ্ধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপাচার্যকে উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পুলিশ ৩০০ জনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
১৯ জানুয়ারি বিকেলে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তার বাসভবনের সামনে আমরণ অনশন শুরু করে ২৩ জন শিক্ষার্থী। পরে তাদের সঙ্গে আরও চার শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। অনশনে অসুস্থ ১৫ শিক্ষার্থী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মোয়াজ্জেম আফরান/এসজে/এমএস
Advertisement