জাতীয়

সচিবালয়ে দর্শনার্থী ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না

নতুন ধরন ওমিক্রনসহ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। তবে সোমবার (মন্ত্রিসভা বৈঠকের জন্য) এমনিতেই পাস বন্ধ থাকে।

Advertisement

সকালে সচিবালয়ে ১ ও ২ নম্বর গেটের মধ্যবর্তী দর্শনার্থী প্রবেশের স্থানটিতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যের উপস্থিতি দেখা যায়। সচিবালয়ে অফিস নেই এমন কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

অভ্যর্থনা কক্ষের বিভিন্ন স্থানে ‘কোভিড-১৯ এর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ে প্রবেশের সব ধরনের পাস বন্ধ। আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’ লেখা বিজ্ঞপ্তি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সরকারি নির্দেশনার কথা না জেনেই অনেক দর্শনার্থী সকালে চলে এসেছেন। তাদের আশপাশে ঘুরতে দেখা গেছে।

Advertisement

হাবিবুর রহমান নামের এসেছেন মগবাজার থেকে। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। এসে শুনি পাস বন্ধ। তাই চলে যাচ্ছি।

প্রবেশ গেটে দায়িত্ব পালন করা একজন পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, সকাল থেকে কোনো দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তবে আজকে যাদের টিকা দেওয়ার ডেট আছে, এসএমএস দেখে তাদের আগের মতই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে উদ্ধৃত করে সরকারি তথ্য বিবরণীতে সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ‘২৪ জানুয়ারি থেকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে- মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় গত ১৩ জানুয়ারি থেকে ১১টি বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এরপরও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণে প্রভাব না পড়ায় গত শুক্রবার থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়াসহ নতুন করে ৬টি নির্দেশেনা দেওয়া হয়। রোববার নতুন করে তিনদফা বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। এতে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্ধেক জনবল নিয়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

সর্বশেষ রোববারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনায় দেশে আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আক্রান্ত রোগী হিসেবে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ১০ হাজার ৯০৬ জন। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ২৯।

আরএমএম/ইএ/জিকেএস